আহা ! কি অপরূপা রূপের লীলাভূমি গো আমার বাংলা মায়ের রূপ !
ভুলেও কর না গো বাঙালিরা কেউ তার সাথে তেমন কোন আচরণ বিরূপ ।
সবুঝ শ্যামল পথে প্রান্তরে আমি বেড়াই ঘুরে ঘুরে হয়ে চির কিশোর অবুঝ ।
আমি যে তার কত না পাগল করিনা কোন ছল জানে ঐ চাঁদ তারা সুরুজ ।
ইস্ ! লেজ উঁচিয়ে প্রেম চেয়ে চেয়ে দোয়েল দেয় কি দারুণ মধুর শিস !
আহা ! কি যে মনোহরী সে সুরের লহরী আমি শুনে মরি মরি হেথা অহর্নিশ !
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে ফল ফসল ধানক্ষেত দেয় হেথাকার অপার সম্ভাবনার সবুজ সংকেত ।
সুযোগ্য নেতা দিলে নেতৃত্ব দুস্যদল না করলে কতৃত্ব কেউ কি রবে বুভুক্ষু হেথা হবে কি অনিকেত ?
বাংলা মায়ের প্রমত্তা নদনদী বহে চলে নিরবোধী ভাব জমাতে তারই বঙ্গোপসাগরে ।
উত্তরে পাহাড়ে পাহাড়ে শোভিত বর্ণিল বাহারে করুণার ঝর্ণা ঝরে যে অবিরল নির্ঝরে ।
চোখের ক্লান্তি হয় কান্তিময় এই বাংলার মায়ের অপরূপা রূপ দেখে দেখে !
আহা ! মরণের পর দেখতে নিরন্তর চোখদুটো জনম জন্মান্তর জন্মান্ধদের কাছে যদি যেতে পারতাম রেখে !!
রচনাকালঃ- সকাল- ১০:৪২টা, শনিবার, ২৭ চৈত্র ১৪২৭, ১০ এপ্রিল ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।