আমার গুরুর যে বিশাল শিষ‍্যের দল
যা দিয়েই তো আমি দেখাই এত বল ।
দেখাই সর্বদাই মুখে মুখে গুরুভক্তি
তাঁর দীক্ষার চেয়ে দেখাই স্বীয় শক্তি ।
তাঁর দখিনা দেবার সময় হলে পরে
জনতার ঘাড় ধরে দেই আদায় করে ।
বিশেষ বার্ষিকি পালনে আমি রমরমা
কিছু কাঙালীভোজ বাকি পকেটে জমা।
গুরুর চেতনা কভু মাথায় ঢোকাই না
শুধু মুখে ফেনা তুলে করি গুন বন্দনা ।
কাংখিত পদ পদবী নিলে কোন মতে
উদ্দেশ্য আমার হয়ে যাবে কেল্লাফতে ।
চৌদ্দপুরুষের রসদ হয়ে গেলে জাগাড়
বেগম পাড়ায় দেবো গো পগাড় পার ।


-উল্লেখিত বেগম পাড়া নামের বিলাশবহুল অনেক আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে আমেরিকা কানাডাতে । যে গুলো বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা গড়েছে সোনার বাংলা গড়ার নামে এদেশের টাকা লুট করে । যাদের অনেকেই এদেশে থেকেই ওসব দেশে বাড়ি বানিয়েছে আর তাদের বেগমদের সেথায় আয়েশি জীবনের মহাবন্দোবস্ত করেছে এবং নিজেরা এখানে পাপীয়া পরিমণি পিয়াসাদের কাছে পিয়াস মিটাচ্ছে ।


রচনাকালঃ- সকাল ১০৪০টা, মঙ্গলবার, ২ ভাদ্র ১৪২৮,
১৭ আগষ্ট ২০২, ঠাকুরগাঁও ।