পাথরকে কখনও অপবাদ দিয়ে
কেউ বলনা গো পাষাণ  ।
বাহ‍‍্যিক রূপটি তার কঠিনই বটে
তবে সেও কমল হৃদয়বান ।
যত যাতনা দুঃখ বেদনা যদিও
সয়ে যায় সে নিরবে ।
টুকরো টুকরো করে ভাঙ্গলেও
সে থাকে নির্বিকার অনুভবে ।
লোভ লালসা হিংসা বিদ্বেষ নেই
বলে পরে থাকে সে নিথর ।
পরের তরে আসতে উপকারে
অনন্ত প্রহরও গুনে পাথর ।
শরীরের আঘাত সইবার আছে
তার যদিও অসীম সক্ষমতা ।
কিন্তু কে বা বুঝে দিলদার দিল
তার ভরে থাকে মায়া মমতা ।
হাতুরের আঘাত সহ‍‍্যটা সহজাত
দিলের আঘাতে সে কুপোকাত ।
পাথর তখন করলে নির্ঝর কান্না
বলি তাকে জলপ্রপাত ।
যে পাষাণ কখনও কাঁদে না কিন্তু
কাঁদতে গেলে আর থামেনা ।
নির্ঝর ঝর্ণা হয়ে অনন্তকাল কেঁদে
চলে কেউ বুঝে কেউবা বুঝেনা ।


রচনাকালঃ- রাত ১১.৫৫টা, রবিবার, ৩ বৈশাখ ১৪২৯, ১৬ রমজান ১৪৪২, ১৭ এপ্রিল ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।