বাংলা কবিতার আসরকে জীবনের অন‍্যতম অনুসঙ্গ করে আমরা যারা এখানে নিয়মিত লিখে চলছি, বলার অপেক্ষা রাখে না তারা আজ সবাই একে অপরের আত্মীয়ের চাইতেও বড় কিছু হয়ে উঠেছি পরস্পরের কাছে । অন্তত আমার কাছে এমনটাই অনুভব হয় সব সময় । তাই স্বভাবতই আমাদের এখানকার কবিদের সুখ দুঃখের অংশীদার হতে আমরা প্রায় প্রত‍্যেকে একটা তাড়না অনুভব করি । আর সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের এখানকার বড় ভুমিকা রাখা কেউ হন এবং তিনি যদি হন আবার আমাদেরকে শর্তহীন ভাবে ভালোবাসার একজন অন‍্যতম ব‍্যক্তি তদুপরি অতি নিষ্ঠাবান কবি, যিনি শত ব‍্যস্ততাকে কোন প্রকার অজুহাত না দেখিয়ে সব বাধাকে উপেক্ষা করে এই আসরকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন । নিঃসন্দেহে তিনি সবারও প্রিয়জন এই আসরের নক্ষত্র স্বনামধন্য কবি ফারহাত আহমেদ । যিনি আজকেও তার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা লেখা কাজটি করেছেন এবং তা পোষ্ট করাটাও বাদ রাখেননি । তা কেন বলছি শুনলে কেউই অবাক না হয়ে পারবেন না । কালের সাক্ষী করোনার ভয়াল থাবা তাকে এবং তার ভালোবাসার জীবন সঙ্গীনিটির উপর আঘাত হেনেছে  গত দু সপ্তাহ আগে । তিনি এখন পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন । কিন্তু তিনি যে আর সাধারণ কেউ নন আমাদের প্রিয় দেশটি রক্ষার একজন অতন্দ্র প্রহরী । তার যে আর বিশ্রাম চলে না তাই করোনার সাথে যুদ্ধের সাথেও কলম যুদ্ধ করাটা তো শুধু তার পক্ষেই সম্ভব ! যা আমাদের কাছে রীতিমত বিস্ময় ! যা হোক স্বস্তির বিষয় এই যে আমাদেরকে সম্পুর্ন আড়ালে রেখে তিনি অতি সন্তর্পনে অনেকটা সুস্থতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এই লেখাটি পোষ্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমার সাথে ফোনে সে কথাই হয় । আমরা তার সপরিবারে আশু সুস্থতার জন‍্য প্রান খোলে দোয়া ও আশীর্বাদ করবো । সবার পক্ষ থেকে আমাদের প্রিয়জনকে জানাই, আমরা আপনার অগনিত শুভাকাংখীরা সর্বদা খোঁজ খবর রাখছি এবং আন্তরিক শুভ কামনা জানাচ্ছি । আপনি এত ভক্ত কূলের দোয়ায় ও শুভকামনায় সত্বর সেই সদা হাস‍্যজ্জল সাবেক মানুষটি হয়ে ফিরে এসে আমাদেরও প্রান চঞ্চলতা ফিরিয়ে আনছেন ।