সেদিন ১২-ই ফেব্রুয়ারি গিয়েছিলাম ঠাকুরগাঁওয়ের
ভারতীয় সীমান্তের জাদুরানির বাজারে ।
সারা বাজারে সাড়া পড়ল হঠাৎ এক জনরবে, গরু
ব্যবসায়ীদের বিজিবি দিল গুলি ঝাঁঝরে ।


পাশের নেকমরদ বাজার হতে পরশুদিনেরই কেনা
গরু নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল ব্যবসায়ীরা ।
পথে আচানক তাদের গরুগুলো ক্যাম্পে ধরে নিতে
চাচ্ছিল বিজিবির ঐ বখাটে জওয়ানেরা ।

কষ্টের টাকায় কেনা মাল কেউ কি ছাড়ে ? ওরাও
তাই তা নিয়ে করছিল তোরজোড় ।
কি হবে করে তা ? সরল মনা এই লোকেরা বুঝেনা
এদেশে যার গরু সেই তো চোর !  


যে দেশে এখন নেতা পুলিশ আমলা; মাল কামাতে  
আম জনতাকে করে হামলা মামলা !  
ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়ে ঐ বিজিবিদেরও এখন মাল
কামাতে দায় হয়েছে লোভ সামলা ।  


তদুপরি, অস্ত্রধারীরাই এখন লাইসেন্সধারী মাস্তান  
এই দেশে তাদের উপর কে বলে কথা ?
তারাই এখন মোদের দণ্ড মুণ্ডের কর্তা, কার বাপের
সাধ্য আছে যে তার ঘাড়ে রাখবে মাথা !


আজ নাই রাহাজানি ছিনতাই; মানুষ মরেনা তাদের
হাতে, তবুও নিয়ত বেড়েছে গুম খুন ।  
রক্ষকই যে ভক্ষক, শুধু তাদেরই কবলে যখন তখন
পড়ে জনতা জানমাল হারাচ্ছে বহুগুণ !    


শুনছি ক’দিন ধরে ঐ জোয়ানেরা বাড়ি বাড়ি রাস্তা
ঘাটে ধরছে গরু করছে জবরদস্তি কামাই ।
সীমান্ত তো তাঁর কাঁটার বেড়া; তদুপরি কড়া পাহারা,  
কেমনে হয় চোরাই হে জওয়ান জবাব চাই.........


কেন চোরাই মাল ধরার অজুহাতে নিরীহ মানুষদের
কর হয়রানি, কেন তারা নিরুপায়ে কাঁদে ?
তল্লাশি কর কেন ঘরে ঘরে তবে কি সীমান্ত অরক্ষিত,
কোথায় থাকো হে তোরা চৌকিদারি বাদে ?    


রচনাকাল- বেলা ১১.২২টা, ৫ ফাল্গুন ১৪২৫  
১১ জমাদিউস সানি ১৪৪০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
মিরপুর, ঢাকা ।


  
স্মর্তব্য- ঘটনা চক্রে আমি সেদিন সে সময় ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরের জাদুরানি বাজারে বেড়াতে গিয়েছিলাম আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে । তখন স্থানীয় লোকদের মুখে শুনলাম বিজিবি ( বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ) সদস্যদের যত অনিয়মের কথা । সে দিন তারা বাড়ি থেকে গরুগুলো ধরে নিয়ে যাচ্ছিল বলে লোক মুখে শুনলাম । তারই জের ধরে উত্তেজনার এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা নির্বিচারে জনতার উপর গুলি চালায় তাতে ৩ জন মারা যায় অনেকে গুলি বিদ্ধ হয়। আরও জানলাম ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্যেও গরুবাহী ট্রাক আটকিয়ে তারা ইদানীং চরম হয়রানি চালাচ্ছে এবং মোটা অংকের বখরা আদায় করছে । তারই প্রতিবাদে আমার এই লেখা............