তোমাকে হারিয়ে আমি খুব কেঁদেছিলাম
প্রিয়া, খুব কেঁদেছিলাম ।
নিজেও যেমন কেঁদেছিলাম প্রকৃতি এমন
কি তার পাথরকেও কাঁদিয়েছিলাম ।
জীবনে এমন করে কাঁদবো ভাবিনি তবুও
অঝোরে অনেকদিন কাঁদলাম ।
কেঁদে কেঁদে কিছুই তো পেলাম না, শুধুই
তোমাদের হাসির পাত্র হলাম ।
তবুও তো থামাতে পাররছি না কান্না বুঝি
বা আমি আমার নিয়ন্ত্রণ হারালাম ।


কারো কাছে যে নিজেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের
পাত্র বানাবো সত‍্যি কখনো ভাবিনি ।
এতোটা বেহায়া আমি হতে পারবো তাও
কোন দিন কল্পনা করিনি ।
আহা ! এভাবে কাঁদলে প্রভুকেও পেতাম
অথচ সেই জিদ কেন যে ধরিনি !
উপেক্ষিত হয়েও যখন অবিরাম কেঁদেই
চলছি আজও যখন মরিনি...
তাই নতুন করে আবারও জানতে ইচ্ছে
করে তবে কে গো তুমি মায়া হরিণি ?


কেউ এতোটা না চাইতেও তাকে হয়তো
দিতে তুমি যাচ্ছো সবি ।
আর আমার চোখে ধরিয়ে আমরণ কান্না
হৃদয়ে সেঁটে দিলে তোমারই ছবি ।
একি তবে আমাকে তিল তিল করে মেরে
ফেলার তোমার বিশেষ কোন হবি ?
আমি বুঝিনা গো অত শত ছলনা তোমার
আমি যে শুধু এক ভোলেভালা কবি !
তোমায় ভালোবেসে যদি কোন দোষ করে
থাকি তবে তব হস্তে মম মুখে খানিক বিষ
ঢেলে দিয়ে যাও এটাই শেষ দাবী ।


রচনাকালঃ- সকাল ৮:০৮টা, শুক্রবার, ১৭ অগ্রহায়ন ১৪২৯, ২ ডিসেম্বর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।