তোমার নিরীহ নির্মোহ চোখের চাহনী
ওগো মৃদুভাসিনী সুহাসিনী মায়াবীনি হরিণী
তোমাকে এতো মায়ার বন্ধনে রেখেছিলাম বটে কিন্তু
তুমিই যে ছিলে সোনার হরিণ তা ভুলেও ভাবতে পারিনি !


আমি তো ভেবেছিলাম তুমি আমার প্রাণের প্রাণ
তোমার মাঝে পেতাম আমারই চিরচেনা হৃদয়ের ঘ্রাণ
তুমিই যে আমি আমারই আরেক রূপ এছাড়া ভিন্ন কিছু
আমি তো ভুলেও ভাবিনি, অথচ আজ বেঁচে আছি নিষ্প্রাণ !


যদি স্বপ্নেও জানতাম তুমি আসলে সোনার হরিণ
তোমাকে পাবার দুঃসাহস দেখাতাম নাতো কোনদিন
আমিও যে নির্মোহী নির্লোভী নিশ্চয়ই তুমি তা জানতে
শুধু অপার্থিব এক ভালোবাসা ঝরে তোমার প্রতি সীমাহীন ।


যেহেতু তোমার মাঝে আমি হয়েছিলাম একাকার
অকসাৎ ফেলে গিয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ জীবনে দিয়ে হাহাকার
এতো আলোকজ্জোল স্বপ্নময় আমার অপার সম্ভবনার এই
পৃথিবীটার বুকে ঢেকে দিলে এক বিষাদময় স্থায়ী অন্ধকার ।


এতোটা স্বার্থপর হয়ে সুখে থাকার খুব কি ছিল দরকার  ?


রচনাকালঃ- বিকাল ৫:৪৮টা, সোমবার, ৭ ফাল্গুন ১৪২৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মিরপুর, ঢাকা ।