কই গো নারী ও শিশুর দরদ দেখা মরদ মাদি
কোথায় গিয়ে কবিতা গান করছ মানবতাবাদী ?
ফিলিস্তিনের বিপর্যয়ে করছো নাতো টু টা শব্দ
কেউ কি রেখেছে তোদের হাত পা বেঁধে জব্দ ?  


ফিলিস্তিনে প্রতিদিনে মরছে কত নারী ও শিশু
কোন ইস্যুই পায় না কি বলতে তোদের যিশু ?
এ নিয়ে কোন কথাই কি বলার নেই তোদের
যখনো কিছুতেই থামছে না রক্ত ক্ষরণ ওদের ?


আহ্! স্বাধীন শান্তিপূর্ণ ছিল যে দেশ ফিলিস্তিন
গনতন্ত্রের ষড়যন্ত্রে তারে করে দিলে পরাধীন ?
তা ধীন তা ধীন নাচো আজ রক্ত হোলি খেলে
শিশুদের তাজা রক্ত পানে কতনা মজা মেলে !


হেথা হোথা কতনা কথার ফোঁটাচ্ছো ফুলঝুরি
ফিলিস্তিন যে ফাঁস করলো তোদের জারিজুরি ।
মানবতার মুখোশ পড়ে দেখাচ্ছ যেই সভ্যতা
আমিও তাই তোদের দেখাই না কোন ভব্যতা ।


মানবতা আর কত মানবেতর হলে ঐ দেশে
তোরা আর হয়ে থাকবে না গো এক পেশে ?
আর কত গনহত্যা হলে করবে তাদের গণ্য
তোদের দু'কলম লেখাঝকায় ওরা হবে ধন্য ?


কার্পণ্য এত্তোসবে তবুও দাবী কর উদারমনা
একটু ভাগের কমতি হলে তুলিস ঠিকই ফণা !
আরে হওনা তোরা যতই জ্ঞানী গুণী বিজ্ঞানী
তোদের চেয়েও অতি উঁচু একেক ফিলিস্তিনি !


ওরা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মাঝেও শ্রেষ্ঠ সবার চাইতে
মৃত্যুই শুধু বাধা ওদের প্রভূর দিদার পাইতে !
তোদের মতো ভণ্ডদের লাগবে নাতো আখ্যা
তোরা কর সমকামী পতিতার রঙিলা ব্যাখ্যা ।


আমি চিনি তোদের হাড়ে হাড়ে বাহির অন্তর
রাখো কত বিদ্যা বুদ্ধি স্বার্থসিদ্ধির জাদু মন্তর ।
তোরা যে সব ছদ্মবেশী স্বার্থান্বেষী সুবিধাবাদী
ভীরু কপট চাটুকারী হারামজাদা হারামজাদি !


রচনাকালঃ- রাত ৮ঃ৪১টা, মঙ্গলবার,  ২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।