খবরদার ! খবরদার !
মুক্তিযুদ্ধের ঐ চেতনার কথা
তোরা নোংরা মুখে নিওনা আর ।
তোদের মুখে শুনলে সে কথা
দাউদাউ করে আমার জ্বলে গাত্র ।
তোরা জানো না মোদের এই
চেতনা যে কতটা পবিত্র ?
শ্রদ্ধার মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চ
তোরাই করে রেখেছ দখল ।
অথচ তোরা তো চোর ডাকাত
খুনি ধর্ষক চরিত্রহীন খবিশ খল !
আমি সেথা কি করে থাকি বল ?
তোরা হয় কুকর্ম করে ঐ মঞ্চে
উঠো নয়তো নেমেই কর কুকর্ম ।
তোদের তো মোটেও নেই যে
আদর্শ চরিত্র জাত ধর্ম.....
তোরা মোদের মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র
চেতনাকেই পুঁজি করেছ বলে ।
খোদ জাতীয়তা বোধে জাতি আজ
দ্বিধাবিভক্ত উদাসীন সকলে ।
দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে ধর্ম আদর্শ
মূল্যবোধ সুকীর্তি রীতি নীতি ।
পরস্পরের প্রতি হারিয়েছে শ্রদ্ধা
ভক্তি এবং দেশপ্রেম প্রীতি ।
তোদের জন‍্য করেনি তারা তাদের
অমূল্য জীবন বিসর্জন ।
তারা ছিল কারো যক্ষের ধন যারা
সর্বহারা হারিয়ে তাদের স্বজন ।
আর তোরা ক'জন এটাকেই করেছ
রমরমা বাণিজ্যের একমাত্র পুঁজি !
পঞ্চাশটি বছর তাই বেচে বেচে করে
যাচ্ছ রুটি রুজি ।
গাছেরও খাচ্ছ তলেরও কুড়াচ্ছ
আবার নিচ্ছও পদ পদবী !
জনতাকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে
ঋণ করে ঘি খাইয়ে দেখাও রঙিন ছবি ।
এই স্বাধীনতা অর্জন কারো বাপ দাদার
না, এই স্বাধীনতা সবার ।
কোন চরিত্রহীন দূর্নীতিবাজ এই নাম
যেন মুখে নিও না আর.....
খবরদার ! খবরদার ! খবরদার !


রচনাকালঃ- রাত ৮.৩৪টা,  ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, মিরপুর, ঢাকা ।