ভাওতাবাজী গণতন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন,  
একবিংশ শতাব্দীতেও হচ্ছে দুর্দান্ত প্রহসন।
গণতন্ত্রী সিংহাসনে স্বার্থান্ধের আরোহণে,  
মহাসমারোহে চলছে তামাশার নির্বাচন।
আগে ভোটারের দ্বারেদ্বারে ঘুরতো প্রার্থী;
কতনা চাল চালাতো পেতে তাদের মন।
কতকাল আর ঘুরা যায় মানুষের দ্বারেদ্বারে !
তাই এখন নির্বাচন মানে অস্ত্রের ঝনঝন।
আগে হতো সূক্ষ্ম কারচুপি; অতঃপর স্থুল,
এখন প্রকাশ্যে দিবালোকে হয় ভোট লুণ্ঠন।


প্রতিশ্রুত এই নির্বাচন আসার আগেভাগে;
কারাগারে পুরে চলে বিরোধী দমন পীড়ন।
এই সুযোগে ঐ মূর্খ নেতাদের নজরে পড়তে;  
অতিউৎসাহী হয়ে উঠে প্রজাতন্ত্রের প্রশাসন।  
ঘুরে ফিরে কদিন পরেই আসে সেই নির্বাচন,
কেউ হারায় স্বজন কেউ হারায় তার যক্ষের ধন।
রাস্তার নেতা পেয়ে ক্ষমতা ভুলে মমতা সমতা,
ভোল পাল্টিয়ে পাঠ চালায় সে রাজার মতন !    
নির্বাচন মানে টাকার খেলা কত ছলাকলা,
নির্বাচন মানে জনতার দুর্ভোগ দুর্যোগ ক্রন্দন।
এঁরা এতটা উদ্গ্রীব গাঁটের পয়সা খরচ করে,  
প্রতিপক্ষের প্রাণ কেড়ে করবে নাকি উন্নয়ন!


নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দলেদলে বাকবিতণ্ডা চলে,
চলে কত মিটিং মিছিল হরতাল আন্দোলন।
যারা চালায় গণতন্ত্রের জোরালো প্রচারণা; তারাই  
সুষ্ঠু নির্বাচন ভুণ্ডল করতে চেষ্টা চালায় প্রাণপণ।  
তাহলে নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে;
কেন এত দেশে ধ্বংসযজ্ঞ কেন এত প্রাণ হনন ?  
জনগণ ছাড়াই যদি নির্বাচন হয় প্রকাশ্যে,  
তবে আদৌ আছে কি এর কোন প্রয়োজন ?


অন্তত রাষ্ট্রের হবেনা অর্থ সময়ের ক্ষয়ক্ষতি,
কেউ ঝুঁকবে না নির্বাচনের প্রতি; হবেনা ত্রাসন।    
অহেতুক জনসভা বক্তৃতার হবেনা আয়োজন,
হবেনা গীবত পরনিন্দা দোষারোপ অতিকথন।  
গণতন্ত্র নামের এই বিষাদ ষড়যন্ত্র থেকে সহসা
মুক্তি পাক এদেশের জন্মান্তরের দুঃখী জনগণ।
আর আপনারা আপনাদের আরাধ্য মসনদে,
বংশ পরম্পরায় পরমানন্দে থাকুন না আজীবন।
                      
-৪/১২/২০১৭ ঢাকা।