তিতাস পাড়ের মেয়ে গো তুমি
তিতাস পাড়ের মেয়ে...
ইহ জনমেও দেখিনি তো আমি
শ্রীমতি তোমার চেয়ে !
ভাদ্রের ভরা পূর্ণিমাতে যেমনই উদাসী তিতাসের রূপ ।
তেমনি তোমার রূপ দর্শনে যে
থাকতে পারিনি নিশ্চুপ !
মৌনতা ভেঙ্গে রূপের শংসায়
মাতি লাগিয়েছ যে মায়া ।
আমার স্বভাব বিরুদ্ধ এ কাজে
যদিও হয়েছি বেহায়া !
সব রূপসীদের দেখেছি প্রায়শঃ
করতে রূপের অহংকার  ।
ঐ রূপেতে চাঁদ মুখ লুকালেও
তুমি থেকেছো নির্বিকার ।
চাঁদেও নাকি আছে কলঙ্ক কিন্তু
তোমার লেশমাত্রও নাই ।
সাধাসিধে জীবনে তোমার রূপ
মোহনীতার প্রকাশ সর্বদাই ।
অতটুকু বয়সেই তোমায় দেখি
মহাপ্রাজ্ঞ জনের মতো ।
যা অর্জনে হতে হয় ধ‍্যান জ্ঞানে  
সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ।
অথচ ওটাও তুমি রপ্ত করে তপ্ত
মরুতেও চলতে শিখেছ ।
পরিবারের সম্মান রক্ষায় নিজে
নিজেকে গুটিয়েও রেখেছ ।
তোমার ব‍্যক্তিত্ব ও রুচি নিকুচি
করেছে কত যে অভিজাত !
যেন তুমি কোন রাজ প্রাসাদের
গুলবাগের শ্রেষ্ঠ পারিজাত !
আমি কোন হরিদাস পাল কিবা
আসে যায় আমার মুগ্ধতায় ।
তোমার জন্যে রাজপাটও ছেড়ে
দিতো কত রাজা মহারাজায় ।
তোমায় দেখে সাধু সন্নাসীরাও
পাগলপারা হতো নিশ্চয় ।
একজনারই এত জ্ঞান গুন রূপ
সমাহার হয়না যে সমন্বয় !


রচনাকাঃ- রাত ১১:৫৮টা, শুক্রবার, ১৩ জৈষ্ঠ্য ১৪২৯, ২৮ মে ২০২২, মিরপুর, ঢাকা  ।
?