তুমি ফিরে আসছো বলে
আমি মৃত‍্যু শয‍্যা হতে উঠে দাঁড়ালাম
এক দূর্দম দৈবশক্তি বলে ।
যেন মরাগাঙে জোয়ার এলো প্রাণীরা
প্রাণ পেল বিকশিত হল নীলকমলে ।
চিরতরে থেমেও গেল হঠাৎই আমার  
অঝোর ধারার ক্রন্দন ।
ধক ধক করে বেড়ে গেল মৃত প্রায়
নিষ্ক্রিয় হৃদ স্পন্দন ।

তুমি ফিরে আসছো বলে
আমার রুগ্ন মর মর মরুদ‍্যান আবার
ভরে উঠল পত্র পল্লবে ফুলে ফলে ।
চক্ষু চকিত লোমগুলো শিহরিত মন
উদ্বেলিত আনন্দ অশ্রুজলে ।
শরীরের সব কোষ হল আনন্দচ্ছোল
শিশুতোষ, খিল খিল হাসে দিল ।
দুঃখের বরফ গলে শীতল জলে নির্ঝর
ঝরণা হয়ে সুখ ঝরছে অনাবিল  ।

তুমি ফিরে আসছো বলে
হতাশা বিনিদ্র দীর্ঘ তিমির রাত্রি দ্রুতই  
উবে যাচ্ছে নব আশার সকালে ।
জাপটে ধরা জরাজীর্ণ শৈত‍্য কুহেলিকা
হল রূপান্তর রাঙ্গা বসন্তকালে ।
বহুদিনের সঞ্চিত বেদনার বড় জগদল
পাথরটি নেমে গেল বক্ষ হতে ।
আকাশে বাতাসে ছড়াল খুশির গুঞ্জরণ
সুরেলা রাগীনির সহবতে ।

তুমি ফিরে আসছো বলে
আমার অশান্ত জগতে শান্তির সুবাতাস
বইছে উত্তর মেরু হতে দক্ষিনাঞ্চলে ।
দীর্ঘকালের সবর শেষে দৃঢ় বিশ্বাস আর
স্বপ্নগুলো উড়ছে ডানা মেলে ।
মস্তিষ্কের নিউরণে উদ্দীপ্ত অনুরণনে নব
জাগরণে জোড়াল আশা জেগেছে ।
বিরহের বহ্নিশিখা আর হৃদয় মাঝারের  
তোলপাড় করা ঝড়ও থেমে গেছে ।

তুমি ফিরে আসছো বলে
বুঝেছি প্রভুর কাছে করা সকল আরাধনা
প্রার্থনা কবুল হয়েছে তাহলে ।
পরিশ্রান্ত প্রত‍্যাশাগুলোর পথচলা এখন
আর যাবে না বিফলে ।
ফিরে তুমি আসছো যখন ভুলেও কখনো
এমন অভিমানে আর যেও না চলে ।
আমার যে আর বেঁচে থাকবার সাধ‍্য শক্তি
মোটেও রবেনা এই ধরণী তলে ।



রচনাকালঃ- বিকালে ৪.৩৩টা, শনিবার, ১৫ মাঘ ১৪২৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা ।