সেদিন ভাইফোঁটার দিন ভাইটি বাঁচাতে,  
কিডনিদানে বোন এল হাঁপাতে হাঁপাতে।  
বাপি বাবুর ঐ লক্ষ্মী বেবি বোনের মত,
ভাইদের পরমাত্মীয় সব বোনেরাই তো !  


আহা ! বাস্তব এমন ঘটনাটি পাঠ করে,  
আনন্দ অশ্রু আমার পড়েছিল যে গড়ে !
ভাইফোঁটার দিনে বোনের কিডনি দান,  
করেছে আবার প্রমান বোনেরাই মহান !


ওরে পুরুষ জাতিটা দেখনা চক্ষু মেলে,
কি করে দুঃখ দাও ঐ বোনের কপালে ?  
বোন ছাড়া ভাইয়ের দুঃখ কে বুঝে রে,  
কেন কর বোনকে বঞ্চিত ভব সংসারে ?


স্বীয় স্ত্রী ছাড়া সবাই রে তোর মা-বোন,  
মানুষ যদি হও তবে সম্মান দেবে শোন ।
যদিনা কর তা দেখবি জীবনের পরাজয়,
বোনের যথার্থ মর্যাদা দাও যদি চাও জয় ।


গতকাল ৩০/১০/২০১৯ তারিখে প্রিয়কবি লক্ষণ ভাণ্ডারী দাদার “ভাইয়ের রক্তে ভাইফোঁটা দীপাবলি” সংকলন ১৪২৬, কবিতার মন্তব্য দিতে গিয়ে লেখা কবিতা । উল্লেখ্য যে ঘটনাটি ঘটেছে ঐ দিন কোলকাতার মুকুন্দপুর হাসপাতালে। বাপি বাবু নামক দুটি কিডনি বিকল হওয়া ৪৫ বছর বয়স্ক ভাইকে বাঁচাতে তার ২ বছরের ছোট বোন এগিয়ে এল । এমনটা সচরাচরই হয় কিন্তু মজার হল দিনটি কাকতালীয় ভাবে ছিল ভাইফোঁটার দিনই ।  হিন্দুধর্ম মতে এবং সামজিক ভাবে জগতের নারী পুরুষগনের মাঝে পবিত্র ভাইবোনের সম্পর্কের বন্ধন গড়তে এটি একটি অতি উত্তম উদ্যোগ বটে। প্রিয়কবি লক্ষণ ভাণ্ডারী ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বা শুনে খুবই চমৎকার ভাবে বর্ণনা করায় আমি চরম আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। সে জন্য তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি । সেই সাথে এই কবিতাটি তাকেই উৎসর্গ করছি । ধন্যবাদ ।