একদিন দুপুরে ক্ষিদের জ্বালায়
পেটটা যাচ্ছিল জ্বলে ।
তড়িঘড়ি খেতে গেলাম পাশের
এক ভাতে মরার হোটেলে ।
ঘেন্না ধরা তার রান্নাবান্না তাও
পুড়ি ভাজা পোড়া তেলে ।


বেসিন তো নয় ডাষ্টবিন যেথা
সবে ফেলে কফ থুতু কুলি ।
সেখানেই আয়েশ করে ধোয়
ব্যাটা থালা বাসনগুলি ।
তবুও অগত্যায় খেতে বসলাম
চোখে লাগিয়ে ঠুলি ।


জবরদস্ত কয়েক লোকমা মুখে
দিতেই করল গা রি রি রি ।
অস্বস্তি লাগা শুরু করলে ঘরে
ফিরলাম তাড়াতাড়ি ।
স্ট্রং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলেই
দেই দৌড় ডাক্তার বাড়ি ।


কোন মতে প্রাণে বেঁচেছি বটে
তবে পকেট করছি ফাঁকা ।
ধার দেনা করে একাকার হয়ে
শোধ করি সেই টাকা ।
ওই মাসে আর কিছুতেই ঘুরে
না সংসারের চাকা ।


কথা হলো রুচিসম্মত হোটেল
হলে উপচে পড়ে ভোক্তা ।
স্বল্প পুঁজির এ ব্যবসায় বেশ
লাভবান হোটেল কর্তা ।
অথচ শিক্ষিতরা খুঁজে চাকরি
হয়না এই সুরুচির উদ্দোক্তা !


* ভাতে মরা = আঞ্চলিক ভাষায় অশিক্ষিত হত দরিদ্রদের
বুঝায় ।


রচনাকালঃ- সকাল৭:৩৩টা, বৃহস্পতিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩০,
২ নভেম্বর ২০২৩, মিরপুর, ঢাকা ।