যোগিনী একাদশী
----------------------------------------
-------শিব পদ রায়
আষাঢ় মাসে কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী,
যোগিনী নামে মুক্তিপ্রদ পাপবিনাশী।
ভবসাগরে মানুষের উদ্ধার নৌকা,
এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত পালনে আকাঙ্খা।
রাজা কুবের ছিল অত্যন্ত শিবভক্ত,
হেমমালী নামে মালী তারই আসক্ত।
মানস সরোবর থেকে ফুল তুলতো,
প্রত্যহ রাজাকে সে পূজার পুষ্প দিতো।
একদা মালী সুন্দরী স্ত্রীর কামাসক্তে,
ভুলে গেল সেদিন রাজভবনে যেতে।
বেলা দ্বিপ্রহর রাজদূতকে পাঠালো,
দূত বলে স্ত্রীসনে আনন্দে মত্ত হলো।
মালী স্নান না করে রাজার কাছে এলো,
দেখে ক্রোধবশে তাকে অভিশাপ দিলো।
কুষ্ঠরোগে পত্নী ছাড়া হলো দীর্ঘদিন,
রোগের যন্ত্রণায় বহুকষ্টে যাপন।
বহুদিন মহাদেবের ফুল তুলেছে,
বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ শিবকে ভোলে নাই পাছে।
হিমালয়ে শ্রীমার্কণ্ডেয় ঋষির কাছে,
মালী ঋষিশ্রেষ্ঠকে সব খুলে বলেছে।
মার্কণ্ডেয় মুনি তাকে দেন উপদেশ,
যোগিনী একাদশী পালন নির্বিশেষ।
নিষ্ঠার সাথে হেমমালী এ ব্রত করে,
রোগ মুক্ত হয়ে পত্নীর সাথে সংসারে।
অষ্টাশি হাজার ব্রাহ্মণ ভোজের ফল,
ব্রত পালনে লাভ হয় উক্ত সুফল।
যোগিনী একাদশী মহাপাপ বিনাশী,
কথা পাঠ শ্রবণেও সর্বপাপ নাশী।
তাং-২২/০৬/২৫ ইং