মেঘদূত
-----------------
-------শিব পদ রায়
কর্তব্য কর্মে অবহেলিত এক যক্ষ
রাজা কুবেরের অভিশাপের স্বীকার,
নির্বাসন দন্ড একটি বৎসর কাল
প্রিয়তমা পত্নী থেকে বিচ্ছিন্ন হবার।
অলকা হতে দূরে রামগিরি পর্বতে
প্রিয়া বিরহ যন্ত্রণায় সে শীর্নকায়,
অষ্ট মাস কাটানোর প্রথম দিবসে
দেখল এক খন্ড মেঘ দোরগোড়ায়।
উন্মাদিত উদ্ভ্রান্ত যক্ষ অজ্ঞানতায়
দূত করে পাঠালো পত্নীর হাতে হাতে,
পূর্ব, উত্তরমেঘ দ্বিখন্ডে মেঘদূত
পূর্ব মেঘে রামগিরি থেকে অলকাতে।                    
উত্তর মেঘে অলকার সৌন্দর্য, বার্তা
যক্ষদূত মেঘ শ্রীরামের পদ ছুঁয়ে,
মালভূমি হতে আম্রকূটের পর্বতে
বৃষ্টিতে পৌঁছে বিন্দ্য পর্বতে বিশীর্ণায়ে।
প্রতি বছর মেঘ দাবাগ্নি নির্বাপিতে
পরে বর্ষনে শীর্ণতা লাঘবে দশার্ণে,        
যায় বিলাসিতার রাজধানী বিদিশায়
উজ্জয়িনী নগরীর সৌন্দর্য গ্রহণে।
তৎপরে গম্ভীরা নদীর সাথে মিলিত
মেঘ দেবগিরিতে কার্তিকেয়কে স্নান,            
উত্তরে রন্তিদেবের চর্মণ্বতী নদী
মেঘ এগিয়ে করে শুদ্ধ জল গ্রহণ।                                          
যাবে ব্রহ্মাবর্ত জনপদে কুরুক্ষেত্রে
মেঘ সরস্বতীর পবিত্র জলপানে,
কনখলে গঙ্গার নীল ধারা বাহিত
মহাদেব গঙ্গাকেই জটায় বন্ধনে ।
পথশ্রান্ত  মেঘ গিরিশ্রেষ্ঠ হিমালয়ে
বিশ্রাম পরে হংসদ্বার হয়ে কৈলাসে,
এটা অলকা নগরী মেঘের গন্তব্য
যক্ষ পত্নীর নিকট  সুধাবে আবেশে।
          
        চুকনগর ডুমুরিয়া, খুলনা।