কবিতা তুমি কি শুধুই ছন্দের উপকরণে সাজানো চরণ?
নাকী অন্ত্যমিলে রচিত গদ্যময় পঙ্কত্তির কতটা স্তবক?
তুমি অবনীর উন্মুক্ত আঙ্গিনায় উৎসুক চোখের দৃষ্টিপাত
অসুভ শাসকের দেয়ালে আঁকা নব সভ্যতার কারুকাজ।


কবিতা তুমি কি ভাবনার রঙ্গে আঁকা স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি?
নাকী অক্ষরে গড়া গাত্রে মাখো বিচিত্র সৃষ্টির সুরভী?
তুমি স্নিগ্ধতার ছোঁয়ায় ফুটা স্বার্থহীন প্রেমের রাঙ্গা কলি
হৃদয় বাগিচায় উড়ে যাওয়া অফুরান খুশির দুরন্ত অলি।


কবিতা তুমি লয়ের ধারায় ভেসে চলা সভ্যতার স্রোত?
নাকী গতির যৌবনে ছন্দে বেয়ে চলা ধরনীর চেনা পথ?
তুমি ঘন তমস্র সরণি পেড়িয়ে ছুটে চলা সত্যের অশ্বপাল
অনল দাবানলে দাহ করে যাও শত অনিয়মের ধূম্রজাল।


কবিতা তুমি শোশিতের কন্ঠে ঐক্যের সাহসী শ্লোগান?
নাকী পৈশাচ চিত্তে জন্ম নেয়া কোন মনুষ্যত্বের আহ্বান?
তুমি রক্তকনিকার বন্দরে বেড়াও চেতনার বিদ্রোহ তরী
অদম্য বলের স্পৃহা জাগানো যোদ্ধার শানিত তরবারি।


কবিতা তুমি কি আপামর জনতার অদেখা সেতুর বাধন?
নাকী মননের মিনারে জ্বলে ওঠা মুক্ত আলোর প্রজ্জলন?
তুমি প্রজন্মের আলপথে করে যাও ভালবাসার চাষাবাদ
যুগ যুগান্তের হৃদয়ে বিলিয়ে যাও অনন্ত সুখের সুভাস।