সম্মোহিতের মত কাচা গদ্য অমার্জিত পদ্য লিখে যাচ্ছি। নিশিতে পেল আমায়? মাঝরাতের কুকুরেরা ডুকরে ডুকরে কাঁদছে, কিছুটা আমারই মত। নির্ঘুম চোখ আমার, নকশা হারানো নাবিক এক। তোমার সৈকতে পা রাখার প্রাণপন ইচ্ছে তাড়িয়ে বেড়ায়, দিনের খাটুনি আর কি এক অপ্রাপ্তি শিরদাঁড়ায় কামড়ে ধরে। এই বিছানা এই টেবিল এই কাগজ এই মোবাইল ছুটোছুটি করায়। এ বলপেন না ও বলপেন এসব করার ফাঁকেই চোখে পড়ে মোটাদাগের সব অশিক্ষা আর কুশিক্ষা। ঘসেমেজে আর যাই হোক, এর জৌলুস বাড়ান যায় না। রাত যেন এদিকে আর শেষ হতে চায় না। কীর্তনের সিজন ফুরিয়েছে আশা করি, নইলে বিষন্নতা শতগুণ বাড়িয়ে দিত ডুকরে ওঠা যন্ত্রণায় নেওয়া ঈশ্বরের নাম। আর বেশিবেশি করে তোমার কথা মনে পড়তে শুরু করে। ছোটছোট আপাত-গুরুত্বহীন জিনিষ কিন্তু যেগুলো আমার ভীষণ আপন। এই ধরো তোমার সাদাকালো আইনের পোষাক আর সেইসঙ্গে একটি সাদা হেয়ারব্যান্ড। দূর থেকে দেখা হলে পরে হাসতে, গালে টোল পড়ত। একগাদা ফ্ল্যাশব্যাক, কয়েকখানা দীর্ঘশ্বাস আর রোজকার মরে যাবার ইচ্ছে। চমক ভাঙ্গায় কুহেলি ভেদ করে ছুটে যাওয়ার অপেক্ষায় শেষনিশির ভোঁ ট্রেন। একা থাকার যন্ত্রণায় আরেকদফা পারদ চড়ে।