মরিবার ইচ্ছা জাগিছে আজি,
কোনোমতে বেঁচে থাকার বহু চেষ্টা গেলো জলে,
জগতে বিশ্বাস নাই,
ঈর্ষাবশত অমূলক দোষারোপে সমাজচ্যুত আমি।
মৌনাবলম্বনে অনেক হইলো দিনগুজরানো,
ইহাতে সুখ নাই-
বেদনার্ত অনুভূতির কবলে কত রাতের অবসান,
মুক্তির প্রতিজ্ঞা করেছি আজ-
দেশান্তরে জীবন পার করবো না,আত্মহুতি।
বিজন প্রান্তরে সন্ন্যাসজীবন নিবো না,
অথবা,
সমাজের অবিচারে প্রতিবাদীও হবো না!
ভয় হয়-খুব ভয়!
সাহসী যুবক রুইতনের মতো মারা পরবো নাতো,
নাকি,
ষোড়শীর হত্যাকে আত্মহত্যা নামে চালিয়ে দিবে?
ওরা সমাজের মানুষ,
সমাজচ্যুত আমিতে তাদের মাথাব্যথা নেই-
মিথ্যা দোষারোপে এমনিতেই দুরাচারী।
আমি জনসমাবেশে মরণের সুধাপান করিবো,
রোষারক্ত নয়নে দেখুক সমাজপতিরা,
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে প্রতিবাদ হউক,
অমূলক দোষারোপে আর কত প্রাণের বিসর্জন?
রুইতনের বিদেহী আত্মার করুণ চিৎকার,
কর্ণগোচর হয় আজ,
সমাজচ্যুত জীবনে বাঁচিবার শখ জাগে কার?
প্রত্যাবর্তন হবে নতুন মানুষের,
দুর্দিনের যত অবিচারের নিষ্কৃতি হবে-
নতুন মানুষে আবার সমাজ হবে,
তখন আর,
মিথ্যা দোষারোপে সমাজচ্যুত হবে না মানুষ।