স্নিগ্ধ শরতে শান্তি-কপোত মিলে মিশে একাকার,
কাশের বাসরে শুভ্র পরশ-
যৌবন আত্মার নবসাজ!
শোভিত উদ্যানে তুমি রূপিণী,
অষ্টাদশী!
তোমার আগমনে কবিতা হলো চিরঋণী-
আর কবির যাযাবর বেশ!
কত শত রূপমায় তুমি রূপান্তরিত মনোহরা,
অচেতনে দিন গুনেছি,কত ফাগুন এলো গেলো-
তার খোঁজ নেওয়ার সময় হয়ে উঠেনি।
তুমি!
শোভিত কাননে চরণ ফেলে,
হৃদয়ে নব কুসুম ফুটিয়েছো-
পুষ্পিত চিত্তে জীবন পেল নতুন রূপ,
তোমারি পরশ হেতু এই নবসাজ!
হুমা,
আজি ক'টা দিন তুমি নেই,
সেই শেষ বার বলেছিলে-
আবার দেখা হবে!
কই? তুমিও না খুব উদাসী,এই ভুলে যেতে হয়!!
আমি কিন্তু ঠিকই দিন গুনেছি-
পনেরো দিনের অবসান হলো,
তুমি,ঠিক মনে করতে পারবে না?
জীবন বন্দনায় কত শত গান রচিয়েছি-
তোমায় শুনাবো বলে,
সযতনে জীবনের পান্ডুলিপিতে রেখেছি,
কিন্তু আজ তুমি নেই!
বেশি দূরে নয়,এই কথা দূরত্বে তুমি-
তবুও কেনো জানি বহুদূরে!!
জীবনের কিঞ্চিৎ সময় যদি আমার জন্য বরাদ্দ করো-
তবে ফিরে এসো,
বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিবো যত কাল বাঁচি।
হুমা,
এই ক্ষণে বহু ন্যাকামি করেছি,
তুমিতো জানোই আমি কিঞ্চিৎ রসবোধে সিক্ত,
তাইতো জীবনের গল্পে রসের সঞ্চার!
মাঝে মাঝে তুমিত্বে মুগ্ধতায় চৈতন্য হারিয়ে বসি!
তোমায় আগেই সুরূপা বলেছি-
এই আসরে তুমি শুধু স্বতন্ত্র তুমি,
তাই,
তোমার নাম ধরেই আহ্বান করছি,
হুমাইরা,
আমৃত্যু পাশে থেকো-
তুমি,আমি আমরা হবো।