এই হেমন্তের রূপে বিভোর আমি,
কৃষাণ-কৃষাণির ব্যস্ততাযুক্ত চাহনি আজ মুগ্ধস্বভাবা!
সহজ সরল আদর মাখা দেহাবরণ,
আর কতক সরল স্বীকারোক্তিতে দেশ প্রেম।
পাড়ায় পাড়ায় আজ উৎসবের আমেজ-
নবান্ন মানাবে শত আয়োজনে-
আত্মীয় স্বজনে ঘরেলক্ষ্মী এনেছে ব্যস্ত কৃষক বৌ,
নানা পদের পিঠা পুলি  আর বিন্নি চালের সিন্নি!
এই রূপ আমি দেখিয়াছি,মাটির গন্ধে-
যাহাদের ভূষণে মাটির আবরণ,
তারাইতো নবান্ন মানাবে ধান তোলার উৎসবে।
আমার বাংলা বিচিত্র রূপিণী,
হেমন্ত বাসর তারে অঙ্গে লাজ আনে-
নতুন বধুর ঘোমটা তোলা আঁচলে,আমার হেমন্ত!
যা,কৃষাণির মনে যৌবনোদয় আনে।
এই বাংলা রূপ খুবই মায়াবী,
বিমুগ্ধ চরণরূপ আর কবিদলের নির্ঘুম ভাবনায়-
হেমন্ত রূপ পায় বাংলা,সোহাগিনী!
আজ নতুনের এই আয়োজনে আমিও ক্ষণিক বলে যাই,
বাংলা মারে ভালোবাসি!
গ্রীষ্ম,বর্ষা এই রূপিণী হেমন্ত-
যা চিরযৌবনা বাংলা।