সীতাকুণ্ডের মাটির আগুনের লেলিহান শিখা নিভেনি এখনো-
এখনো শুনা যাবে বাঁচার শেষ আকুতি,
বাজান,আমার পা উড়ে গেলো!
কালিমা পড়াও,আমি আর বাঁচবো না।


অন্তঃসত্ত্বা নব বধুর হাসপাতালে হাসপাতালে বিচরণ,
সাত মাসের শিশুর ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত-
মৃত বাবার লাশ!
স্বজনদের কান্নার আহাজারি চতুর্দিকে,
কতকের খোঁজ নেই,
মৃত নাকি জীবিত জানে না স্বজনে।

কাজকর্মের মাঝে সুখ খুঁজে নিয়েছিলো ওরা,
রুটি-রুজির আয়োজনে,
বাড়ি ছেড়ে বহুদূরে এই সীতাকুণ্ডে,
বাঁচার শেষ আকুতি ছিলো পরিবারকে ঘিরে।


বিছিন্ন হাতটি ছোট্ট শিশুটির বাবার হাত নয়তো-
যার বাহানা ছিলো,
হাত ধরে বহুদূর চলার,
স্বপ্ন আজ মরে পড়ে আছে-
সীতাকুণ্ডস্থ জনপদে।


সম্প্রচারে ব্যস্ত যুবকটি জানতো না,
সারা পৃথিবীতে ছড়াবে তার মরণের বার্তা,
অগ্নিনির্বাপক কর্মীর কি যে সাহস,
মরণেই যে হাসিছে,
বাঁচিয়ে কতকের সত্তারে।


সীতাকুণ্ডস্থ জনপদের মানুষের মাঝে ভয়,
এতো মানুষের লাশে-
কে বা থাকে সাহসী আর,
রক্তের দাগ মুছেনি আজ।


বাতাসে পোড়া মানুষের গন্ধ,
কতকের অঙ্গহানি কাতরাচ্ছে হাসপাতালে,
স্বজনের আহাজারি,
আমার বাছার লাশ কোনটা বলতে পারো?
নব বধুর হাসপাতালে হাসপাতালে বিচরণ।


পরার্থে নিয়োজিত মানুষের জয়গান,
যারা সেবিছে আত্মারে সযতনে,
ওরাই মানুষ পরিচয়ে আজ,
নেমেছে সেবায় মানবের।


পোড়া মানুষের গন্ধ বাতাসে ভাসমান,
সীতাকুণ্ডের মাটিতে শেষ চিহ্ন,
বাঁচার আকুতি শুনা যাবে এখনো,
যদি কানপাতি মাটিতে।