অন্ধকার নেমেছে আজ সভ্যতার ছোট্ট কুটিরে,
কে তুই আজো একেলা দাঁড়িয়ে আছিস?
সুবোধ নাকি?
অবাস্তব কল্পনা বিলাস নয়তো আবার!
কি জানি কি ভাবছি-
মনুষ্য নির্মিত সভ্যতায়তো মানুষের স্বার্থসাধন,
তুই কিভাবে আসবি?
না,
তুই না তোর আদলে স্বার্থান্বেষণে ব্যস্ত কেউ-
চলে যা,যা-ই তুই-
কখনো ডাকবো না,আমি লুটেরা শুধু সভ্যজনে ভয়!
সুবোধ আসিস না,তুই আসিস না,
আমি একটু অমানুষ হবো-
না,বহুদোষে দোষী হবো!
তুই,সাধুদের ছায়াতলে থাক-
দূর হিমালয় কিংবা নির্জন বনবাদাড়ে।
মানুষের কাছে আসিস নে-
কতক অমানুষের স্বার্থের জয়গান!
তুই,নিরেট ভদ্রদের দরবারে যা,
আমরা কদাচারী,স্বার্থোন্মত্ত!
ভালো মানুষ আমরা নই,নইকো কারো দুঃখে জর্জরিত,
আমাদের মানসে স্বার্থই সব।
বাকি সব যাক না মরার দ্বারপ্রান্তে-
আমার কি বা আসে যায়!
সুবোধ,
নতজানু করে বলি তুই আসিস না-
আর কতক কাল যাক-
কতক মানুষ বিচারহীন মরুক না,
অন্যায় আরো গাঢ় হউক,তবুও না!
মানুষের সভ্যতায় তোর ঠাঁই নেই-
আর তুই মানুষের জন্যও না।
ফেরেশতা বা দেবালয়ে তোর বাস হউক,
আমাদের জীর্ণ সমাজে আসিস না।
কোনো কালে যদি সভ্য হতে পারি-
তবেই এসে দেখে যেতে পারিস।
আমরা না জানি কত খুনের রক্তে-
বসবাস করছি।
কারো বোন বা মায়ের অশ্রু জলের সাক্ষী হতে-
কেন আসবি তুই?
না!
তুই আসিস না।
সুবোধ বহুদূরে যা চলে,মানুষের অগোচরে