গ্রীষ্মের খরতাপে অস্থির এই নগরে,
চাতকের ন্যায় অসহায় মানুষে,
প্রশান্তির উপলব্ধি আনে-
একটুখানি শীতল বাতাস।


থমথমে দুপুরে ক্লান্ত পথিকের পথ,
দীর্ঘায়িত হয়ে পড়লেও,
নিরাশার অনুযোগের মোচন ঘটে-
ছায়া দানকারী গাছটার অকৃপণতায়।


পৃথিবীর সুখগুলোর শত ভাগে,
ভালোত্বের সংস্পর্শ হৃদয়ে প্রশান্তি আনে,
খরতাপ গ্রীষ্মের প্রাণহীনতায়-
চাতকের উপলব্ধি কষ্টের উপলক্ষ্য আনে।


জাগতিক শত গল্পে,
শত অভিযোগ-অনুরোধে,
খরতাপে জ্বলন্ত দেহটায়-
শীতল বাতাস সুখানুভূতি জাগায়।


তবে,
এইসব জাগতিকজ্ঞান বিতরণে পারঙ্গম নই,
গ্রীষ্মের খরতাপ-শীতল বায়ুতে-
আমি আবদ্ধ নই।


আমি প্রেমহীন নগরে,
প্রাণের সঞ্চারে বেরিয়ে পড়েছি,
জাগতিক মোহে আবিষ্ট নই-
শুধু তোমাতে বেঁচে আছি।


পৃথিবীর গল্প গুলো হারিয়ে যাবে,
চাতকের হাহাকারও থামবে,
মোহে জড়াবে না কেউ-
যখনি আবদ্ধ হবে প্রেয়সীতে।


আমি দ্বিধাহীনভাবে বাঁচি,
তোমার পানে চেয়ে,
কবিতা হই কিংবা কবি-
তোমাতেই যেন বেঁচে থাকি।


আবারো শীতল প্রবাহে প্রশান্তি আসবে,
মানুষে সৌহার্দ্য রচিবে,
চাতকের উপলব্ধিতে শান্তি-
আমিও বাঁচবো তোমায় নিয়ে।