কেবলি আমি হারিয়ে যাই
কোথাও যেন একদিন দেখেছি নিজেকে
                              পরিচিত আমার মত;
ধনুকের ন্যায় বার বার কোন অদৃশ্য সুতোর টান
আমাকে বাঁকা থেকে আরো বাঁকা করে দেয়
                                 এক হেঁচকা টানে।।

সরল তীক্ষ তীর রেখে যায় তনু
সেই ধনুময় ধনুকে রয়ে যায় সুতোর টান; আর-
আমার বক্র জীবনের উপবৃত্তাকার অন্তর
                   তৈরিকরে এক প্রক্ষেপন; হয়ত
সে পথেই হারিয়ে যাই, কিংবা খুঁজে পাই নিজেকে।।


খুঁজে পাই নিজেকে,
কোন একদিন হয়ত পাপড়িঝরা  কদমের মত
                      ঝুলে থাকা সবুজ বল হয়ে,
      হয়ত প্রানহীন শামুকের খোসায়-
                       জমে থাকা নীল পানি হয়ে
নয়ত ধোঁয়ার মত একছরি আবছা কালো মেঘ হয়ে
                    নীল আকাশের কলঙ্ক বাড়াই।।


আর এমনো হতে পারে, হেটেচলা পথিকের
পায়ের আঘাতে, উরন্ত বালি কণা হয়ে
আবার হয়ত মিশে যাই ধুলোর সাগরে
                         আমি কেবলি হারিয়ে যাই
মাঝে মাঝে শুধু খুঁজে পাই নিজেকে


খুঁজে পাই নিজেকে,
কোন ছেড়া গোলাপের ভাঙা অর্ধেক কাঁটা হয়ে
নরম হাতের লেগে থাকা বিরক্তির কারন বৃদ্ধি হয়ে
             মাঝে মাঝে ক্ষুধার্ত ছাগলের সামনে-
নিজেকে মনে হয় বেড়াবদ্ধ সবুজ শীমগাছ
         এক অখাদ্য হিসেবে নিজেকে খুঁজে পাই।।


খুঁজে পাই নিজেকে অপদার্থ হিসেবে
অলংকারের পেছনে লেগে থাকা কলো আবরণ,
             উৎসব মুহূর্তে তাই ঘসা-মাঝাতেই
হয়ত হারিয়ে যাই অন্য ময়লার জগতে
                 সত্যই আমি কেবলি হারিয়ে যাই ।।