শ্বেত রমনীর মুখ

এতটুকু মুখ, এতবড় বুক, পলকের তেজ
এত মায়াবী আমেজে খেলেছিল লাশকাটা ঘর;
যাযাবর প্রেতাত্নারা হয়েছে দোসর,শোকব্যজ
ফেলে দিয়ে চাঁড়ালের চাকু নেচেছিল থরোথর।

চলে গেছে মেয়ে ফেলে সুবিশাল হৃদয়ের প্রেম,
নুপূরের রিনিঝিনি সুর গোলাপী গন্ডের লাজ;
মাধবীলতা নাকি সুস্মিতা না সে ঝরে পড়া হেম
মর্গে রুদ্ধ আজ আজ প্রনয়ের পৃথীবীর আওয়াজ।

এইটুকু নিরবতা, হাতুড়ির খুলিতে আঘাত,
শোণিতের ধারার মতো বয়ে যায় খয়েরী প্রনয়;
যেন কোন এক ধীরে বহা নদী করে পিণ্ডিপাত,
সাগরের অভিসারে মেঝে মানচিত্রে চুপে বয়!

বাসী হয়নি বানানো তার পিঠেপুলি সৌরভের
ঘরে, শয্যাখানি যায় নি ভুলে দেবী মুর্তির ভার;
রেখে গেছে অনুভুতি হীম হয়ে আসা জয়রবের,
নির্ভেজাল নারীপ্রেম ফাঁসরশি বয় নি যে ঘাড়।

মাধবীলতার চোখে জমা আজ ঢুলে পড়া ঘুম;
কবেকার পাথুরে পাহাড় যেন শরীরে নিঝুম।