রাতভর উঠে ঝড় কাঁপে নীড় কাঁপে ঘর
থর থর করে আজ কাঁপে ঘুমন্ত ধরনী
শনশন দোলে বন হুতাশন বিভীষণ
ভীতমনে মৃত্যুপনে কাঁপে শঙ্কিত তরুণী।
কাঁপে নারী কাঁপে নর, নড়বড়ে ছোটঘর
চেপে ধরে সপাটে হিংস্র বায়ু যে দমকা;
উঠে বাজ রোষে আজ ক্ষেপে উঠে লীলারাজ
কোথায় দরাজ নাদ ফেটে উঠে আচমকা।
সাই সাই স্থিতি নাই জনপদ মিছে ছাই
মৃত্যুস্রোতে যেন নেচে চলে তুফান-কেশরী
কতঘর কতখড় মৃতদেহ ধূলোঝড়
কারতর মুখের পর ধ্বংশের বাঁশরী।
হাহাকারে চিৎকারে মিশেছে বায়ুর তোড়ে
বাড়ছে ক্রমে প্রলয়ের হুংকার গর্জন;
কালো নীশি একাদশী বিদ্যূৎ চমক রাশি
কুলনাশী আবহে যে সব করেছে দুর্জন।
ঝাপটা ঝাপটা দৈত্য কাড়ছে জীবন সত্য
নিরন্ন মার্তণ্ড আজ মারীমন্ত্রে একাকার;
দৈত্যের দাঁতের সারি স্ফুলিঙ্গে উঠছে তেড়ী
রাতভর বয় ঝড় মরনের কারবার।
ধ্বংশ স্তুপে ভোরে জড় -অজড় আছে পড়ে
খড়কুটোর মত নিথর মৃত প্রানী সব;
জনপদ হলো রদ চেয়ে দেখে হরিপদ
বৈশাখ ছিনেছে আজ জীবনের কলরব।
হয়েছে ছিন্নভিন্ন জনপদের যত চিহ্ন
দুর্বিপন্ন মানবতা বুজেছে নিজের চোখ;
কত প্রান অফুরান হাসিগান হলো ম্লান
নিস্তব্ধ নিস্প্রান ভিটে গুলো হয়ে আছে মূক।
#অনুষঙ্গ........
(২০১৩ সালের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব ও তার সচিত্র পরিনতির প্রকাশ প্রচেষ্টা মাত্র)।