হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা)


কলেমার ভোর হালিমা সাদিয়ার ভেড়ার প্রান্তর
মেঘ ছাতা সিনাছাক মোটাসোটা দুধেল উট আর ভেড়া
রহমত বরকত তাওহীদ আলো
নিকষ অন্ধকারে খেয়াল আচারের ভঙ্গুর চূড়ায়
মহা পবিত্র মহাসত্যের নরম আলোর বেষ্টনী
এক মহা অনুসন্ধিৎসু বুকের ভেতর ঘুমায় হেরার প্রান্তুর
জেগে উঠে ঐশী আলোয় আরবের মরু
সত্যের ঝলকানিতে কেঁপে উঠেন কম্বলাবৃত মহাপুরুষ।
মহা আলোক স্তম্ভকে অন্ধকার মিথ্যার মোকাবেলা
যেন সূর্যকে হুমকি দেয় আঁধার গলি
অবরোধে আবু তালিব- মানুষের খাবার কেড়ে খেতে চায়
তুচ্ছ মৃত মাছির ডানা;
হাতিকে মেরে ফেলার কলাগাছের পরজীবির হাস্যকর অবরোধ
আবিসিনিয়া- মদীনার অন্ধকার মাটিতে গর্বিত আলোর বীজ
মহান ভ্রাতৃত্বে- সফলতায় উদ্ভাসিত এক ঐশ্বরিক বাহিনী
কাল বৈশাখী মেঘের গতিতে সঞ্চারণ করে মরুর আকাশ
প্রভুর মদদের আলোয় আলো রঙিন মেঘের চাতাল।
জ্যামিতিক প্রবৃদ্ধি আছড়ে পড়ে দলবৃদ্ধির রহমতে
বদর, ওহুদ,খন্দক, মুতা কলেমার পতাকায় ছেয়ে যায়
অকৃতজ্ঞ অন্ধ পৌত্তলিকের ধ্বংসস্তুপগুলো।
সত্য সমাগত মিথ্যা ভুূলুন্ঠিত, নিশ্চয়ই মিথ্যা চিরদিনই বাতিল।
নববীর চত্বরে অপার আলোর সারি, যার আলোয়
আলোকিত বিপুল সৌরজগত।
একজন মানুষ কতটা  ঐশী সাহায্য প্রাপ্ত হলে
তেইশ বছরের সিংহাসনের শিকড় গড়ায় চৌদ্দশ বছর
অতিক্রম করে মহা প্রলয়ের শেষ আলোর বিন্দু পর্যন্ত
এক অসীম সফলতার মৃদুমন্দ জান্নাতী হাওয়ায়?
যেখানে আগুন আর অন্ধকারের ধ্বস্তাধস্তিতে
ভাঙনের দহনে মরার আগেই হারিয়ে যায় লোক!


বিশাল সূর্যকে গমের দানায় একটি মাত্র দৃষ্টান্ত এঁকেছি আমি
আছে কি তার সমকক্ষ এমন কোন আলো এই সৌরপরিবারে?
সমস্ত সালাত সমস্ত সালাম বর্ষিত হোক তাঁর সম্মানে।