ময়ূরপঙ্খীর রাঙা পাল বলে
বানিয়েছ চিমনী ভাটার করে-


এখন আমার সারা অঙ্গে কালি;
অগ্নিবসন বুকের ভেতর তুলে
আমি কেবল ধিকি ধিকি জ্বলি-
তুমি নাচো  দিগন্তের ওই পাড়ে।


রাঙা অঙ্গার হাতে তুলে দিয়ে
বলেছিলে -দিলাম গোলাপ ফুল
সুরেশ্বরী বাঁশি মুখে নিয়ে
নীলাম্বরে উড়িয়েছ চুল।


তুমি এখন একলা সুখী
আমিও এক দুঃখ পোষা লোক
জীবনটাকে মৃত্যু মুঠোয় রাখি
দেখছি খেলা হয়ে সমুৎসুক।


কি হত আর না বানালে বলীকাষ্ট-বেদী
এমনিই তো দিতাম তোমায় স্তুতি-
না থাকিলে তোমার মহান লীলা অনুভুতি
হয়ত হতাম মজে যাওয়া লবনদহ নদী।