ঘনিয়ে এসছে একাকী প্রান্তডানা--
আকাশের মত পাংশুটে তার চোখের বিলাপ
ফোটে থাকা শ্রান্ত রাতের কিনার ঘেঁষে
গভীর প্রহেলিকার ঘোরে চলে পথের ধূলি।
স্মৃতিঘাগড়ের দিনে মহুয়ার মুল্লুকে
নৈশাব্দিক দ্যোতনায় ভিড়েছে বিষণ্নতা
পেছনে তার সম্বিতের ঢালে অজস্র বেদনাবহর
হে চৌকস ধোঁকার পাহাড় , হে স্বার্থান্ধ সংকীর্ণতা...
আমি কোনদিনই তোমাদের একপাক্ষিক
মহরতে মানুষ ছিলাম না।
উজান স্রোতে ফেলে এসেছো যে নীতির নৈবেদ্য
হে ক্লান্ত সভ্যাতার বিকৃত অসভ্য কঙ্কাল
শরীরের থেকে ছায়া বড় হলে
আলো ছেড়ে যায় মাথার চাতাল--
বারুদের বেদীতে বিষাক্ত প্রার্থনায়
শিশুর রক্তে যে পৈশাচিক নন্দন তর্জমা
যাকে আলোকিত করেছে তোমার বুকের সুবাস
প্রভু নয় -- সে এক দিকভ্রান্ত অপদেবতা।
নদীমারা ধাতব গানের হাতে যে স্রাব
মানুষের আয়ুরেখা ভর করে তরতরে উঠেছে ক্লান্তি
নগরের পাঁচিলে এঁকেছে সে এক নরকের চঞ্চু
হে পিনপিনে ভন্ড কর্পোরেট গলি
মুখোশের মাদকতায় কখনো লিখিনি আমি
আদরের অক্ষরে এই মানুষের নাম!