মাথার ভেতর নরক পুষি, সেই নরকে পোড়ায়
স্মৃতির দেহ প্রীতির মেহ অনুভূতির গোড়ায়।
অনেক আগুন একলা তবু  আমার অনুভূতি 
অন্দর পোড়ায় বাহির পোড়ায়, পোড়ায় কানের লতি।
অপরাধের মাথাল বেয়ে পড়ছে কত আগুন
শ্মশান চিতার ছাই যেন সব আমার আঁধার ফাগুন।
আগুন ঝেড়ে বিছাই আগুন আমার অনল বোধে
মেঘ গুলো সব হাতের রেখায় গুমড়ে কেমন কাঁদে।
ফুলগুলো সব নখের ভেতর, পাখি গেছে পুড়ে
অনেক আগুন একলা আমি আকাশ মাথায় করে।
চাঁদ টুকু আজ চোখের ভেতর লুকিয়ে গেছে হায়
চোখ সাগরের সবটুকু নুন চাঁদ যে গিলে খায়।
মাথার উপর একলা আকাশ দুঃখ চষি তাতে
সুখের শস্যে আশার অভাব মরি আমি ভাতে।
সাগর গুলো দিচ্ছে ধোকা ফায়ার সার্ভিস বলে
অনেক আগুন একলা আমি যাচ্ছি কেবল জ্বলে।
কাদার ভেতর  স্বপ্নগুলোর হচ্ছে ভরাডুবি
কালের ঢলে স্মৃতির ফসল খাচ্ছে কেমন খাবি।


হরেক রকম বর্ণিল আগুন জ্বলছে আমার মনে
ঈর্ষা, অহম, আত্নতৃপ্তি, শেষ কি হবে গুনে?
নিজেই নিজের অগ্নি চিতা আমরা যারা জ্বেলে
নিজের ভেতর মরছি পুড়ে বদ, বে, কু আক্কেলে
আমাদের কি বোধ হবে না?  দিন কাটাবো পুড়ে?
বুকে রেখে ফায়ার সার্ভিস, যাই  দহনে  মরে!


কার্পেট হৃদয়, কাশের দু হাত, ফুল দেখা চোখ যাদের
পরশ পাথর, মানবিক বুক, অগ্নিবাস নেই তাদের।
হৃদয়টাকে কাবা  করে পাখির চোখে দেখো 
এই পৃথিবীর কোথাও আর আগুন থাকবে নাকো।