আমার তুই থাক, সব নিয়ে যাক ঝড়ে
পশমের মতো খড়কুটো, আঙিনার রোদটুকু, শালিকের ছানা দুটো, শীতের সুয়েটার যাক উড়ে।
আমার তুই থাক, না হয় থাকবি সিঁদুর পরে।


তাতে বা কী? জাত দিয়ে কে রেঁধেছে ভাত, নির্ঘাত কে জীবনকে ধ্বংসের বুকে উপুড় করে? আমার তুই থাক না হয় থাকবি শাদা শংখ পরে।
ঘর পুড়েছে যার, তুষের আগুন জ্বলে,
সেই তো জানে জীবন কাকে বলে?
সেই তো বলে 'কলঙ্খ তুই রাখ
শোব নদীর তীরে' ! ফিরব না আর আবার যদি পুড়ে?
তিতে উচ্ছে আর বন কলমীর শাক
তাতেই যাবে তাতেই হবে বেশ
আঁচল টেনে শংখ দুখান ঢাক
সিঁদুর খানি চুমু দিয়ে গিলে, রাখব না
আর ধর্ম যাবার ফাঁক।
আমার তুই থাক, আঙুল ফেলে আমার অধরে।


ঝড়ে যার যায় নি পশম ছিঁড়ে
একটা দুপুর কত বেশি দামি
একটা হাতের কতটা উষ্ণতা
বুঝবে না সে, একটি বুকের ভালবাসা
একটি শব্দ 'তুমি'।
যার যা বলার বলে সবাই যাক
আমার তো আর মুখ লুকাবার বাঁক
নেই কোথাও আমি শুধু জানি।
আমার তুই থাক, আর সব খসে যাক পরে
তোর মাঝেই নতুন জীবন নতুন ধারার বাঁক
নিবে আমার জীবন নদী যুগ জনমের পরে
নতুন কোন চরে।
আমারে তুই রাখ বুকের মাঝে চামরী উকুন করে।