চাঁদের সুবচনে আকাশে আলোর খিল
নদীগুলো ধইরা বাইন্ধা কোনরকম বয়
তাসিনের মা...
মাপহীন উচ্চতা  কেতাদুরস্তদের পাঁচিল
মনুষত্বের পরিমাপক কোনদিন নয়।


খুন্তি দিয়ে খুইড়া আনছো যে বিদেশী ভোঁদর
আসমান ভইরা রূপ বাইন্ধা রাইখাও
তার চোখে পাইবা না প্রাকৃতিক আদর।


তাসিনের মা...


তোমার দুরন্ত কৈশোরের দামে আমি এখনো
রাত রাত অনিদ্রা ক্রয় করি বছরের বছর
পৃথিবীটা যে স্বর্গ নয় তোমার সংসার সুখ
না দেখেও তা আমি দিব্যি বুঝি
সন্ধ্যার লালিমায় সাঁতরানো
শেষ পাখিটির শূন্যতার শেষেও।


হাঁটা জীবনের অলিখিত ভাঁজের শিল্প
দুজনারই জানা হলো আজ
যে শিল্প সত্যের আঁতুরঘরে শহীদ হয়েছে
তোমার সহস্র প্রতিজ্ঞার কাঁকন
আমার প্রথম জৌবনের টুপটাপ নোনা স্তব্ধতা।


তাসিনের মা...
জীবনের যে অপঠিত মুহূর্তগুলো
আমার পঠিত হবে বলে কেড়ে নিয়েছিলে
আমার দুই চোখ
সেই মৃত চোখের মমিতে আজ
তুমি এক সুপ্রাচীন পটে আঁকা
অতি সাধারন মৃত নারী
নিরুত্তাপ উদাসীনতায় যে ঘর করে যায়
পৃথিবীর যে কোন পুরুষের।