ফড়িংয়ের উড়োচোখ


এডেক্সের চোখ থেকে উজ্জ্বল সবুজ আলো পরে এসে বুকে
ঠিকানার সংশয় মাঠের ফাটলে নগ্ন বাতাসের গলা;
অন্ধকার ক্ষতগুলো লিখে রাখে গাঢ় ক্রোধ ঢেলার চিবুকে
হেলাচ্ছলে যেইমাত্র এইটুকু গড়গড়ে হয়ে গেল বলা -
সময়ের ঘোটকীর বেড়ে গেল শ্বাস
জাপটে ধরে সে লিলুয়া বাতাস
টেনে দিল বজ্রনাদ আকাশের চোখে
ঝুলন্ত দুপুরে ঝঞ্চা দিল ফুঁকে।
আলোর ভেতর তখন ঘুমের প্রহর, জিওল রোদ
তমালিকা বেদনার কোল ঘেঁষে হেলে
ডুডু পাখিদের মতো কোথায় গিয়েছে চলে
গিলে খেয়ে শরীরী বারুদ!
মরা কবি ঘুমিয়েছে অবচেতন অভাবে
অতিদুর ঘোড়াউত্রা ধনুর আঁচলে
সময়ের সাথে তার আর কি মিতালী হবে?
জাগবে সে তারাদের বুনো কোলাহলে?
কোনদিন?
কতদিন পর? আখিরাতে? পর উৎসবে?
অবিনাশী বঞ্চনার কোন কালচষা
জোয়ালের তলে?
শিশিরের ঠোঁট নিয়ে পাথরের পৃথিবীতে যে বিহগ
জন্ম নেয় অকারন অসময়ে একা
রঙিন ফুলের রেনুমাখা বিকেলের ফড়িঙের উড়োচোখ
কোনদিন তার হবে না গো দেখা।