উত্তুরে মেঘ



আমি তখন উত্তুরে মেঘ দখিন হাওয়ায় ভাসি
তুমি তখন স্কুল বালিকা দমকা হাওযার রাশি।
সারা আকাশ জুড়ে তখন আমার সন্তরন
মাত্র শুরু তখন তোমার কেমন কেমন মন।


উথাল হাওয়ায় সুখের বসত তখন আমি উড়ি
তুমি তখন শিখছো সবে কেমনে পরে শাড়ি।
তখন আমি রুমাল কিনি টকটকে সব লাল
তখন তোমার কচি মুখে টোল পড়া এক গাল।


আমার চলে ভরা জোয়ার আবেগে চোখ ভরা
স্কার্টে তোমায় অনেক মানায়, ঘোরে শত ছোঁরা।
যা দেখি তা ভাললাগে উথাল  আমার দিন
তখন তুমি প্রজাপতির রঙেতে রঙিন।


উড়ো চুলে ঘোরো তুমি ডানা কাটা পরী
তখন আমার একলা আকাশ কত রকম ঘুড়ি।
স্কুলের গেটে কথা হলো কলম উপহার
তখন আমি প্রথম প্রেমিক তখন আমি স্যার।


ফাগুন হাওয়ায় সুখের পাওয়া কত যে সুখ লাগে
তুমি তখন কলেজে যাও কৃষ্ণচূড়ার রাগে।
হৃদয় জুড়ে প্রথম যৌবন  প্রথম প্রেমের ঘ্রান
কেমন কেমন অনুভূতি কেমন কেমন প্রান।


কথা হল গাংচিলেতে ধানসিড়িতে কফি
ইউরোপাতে সুখের পরশ হাতে নিয়ে ট্রফি।
চিঠির শেষে আসছে মোবাইল খবর রাখো রোজ
সুখ যে আমার উথলে উঠে নিতে শোকের খোঁজ।


সুখের ভেলায় বজ্রপাতে কজন মরে মাঝি
সুখ সাগরে দুখের ঘূর্ণি ভেঙে হৃদয় পুঁজি।
ভাঙা কপাল হঠাৎ করে তোমার বিয়ে ঠিক
হলাম আমি উত্তুরে মেঘ বদলে গেল দিক।


বয়ে সময় রয়ে গেছি দুজন দুটি তীরে
যুগল হারা মৃত পাখি যেমনি ফিরে নীড়ে।
চখাচখির চিরতরে বদলে গেছে পথ
তখন আমি একলা শালিক, বিলুপ্ত শপথ।


শেষ বিকেলের হলদে আলোয় হৃদয় ধিকি ধিকি
তোমরা দুজন পার্কে ছিলে যখন আমি দেখি।
হাতের উপর হাত যে কাহার চোখের মাঝে চোখ
পরম প্রিয়ার সুখের স্বপ্নে বিলুপ্ত হয় শোক।


কাশের ফুলে নীলাভ আকাশ দারুণ মানিয়েছে
আমি এখন একলা পথিক পথ হারিয়ে গেছে।
শিরায় চলে সুখের নাচন পীড়ায় পুড়ে চোখ
ধরা গলায় বলেছিলুম তোমার ভাল হোক।


বাদশাহ আমিনুল  কে।