জ্বলে গেছে রোদেলা ধানের মায়া
জ্বলে গেছে আস্ত একটা ভাদ্রের দুপুর
ভিখারিনী রুগ্ন মেয়েটির মতো যেন
জ্বলে গেছে ভেতরের আলিশান বাগানবাড়ি।
বাবেল মন্দিরের সেই পুরোহিত যেন
রোদ মাখে তার কবেকার ভ্রান্ত জটাচুলে
ল্যুভরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে সে প্রতীতি সম্মোহন
পুড়ে গেছে গঙ্গারিডি সিকি আর আধুলিতে গলে।
মেছোবাঘের বিলুপ্ত চোখের মতো জ্বলে গেছে
সরল বিশ্বাস, কল্যাণকর সব অনুভুতি
মানসিক চাপে ভরা নগরের খড়ি উঠা টেবিলে
রেখে গেছে টয়লেট টিস্যু মোড়া যত অসংগতি।
শৃঙ্খলার কারাগারে পা রেখে যাপিত জীবন
উন্মুক্ত বন্দীত্বে যেন তুলে হুলুস্থুল
জ্বলে যাওয়া অনুভূতি আর গলে যাওয়া মন
ভবিষ্যপুরাণ লেখে অগুনিত ভুল।