পদ্যের খাতার ভাঁজে
ভীড় করা দোলাচালে
সাঁই করে তুলে নিই অভিনবত্ব কলম
হাঁটা সকালের প্রলম্বিত কোণে
নৃত্যরত পুকুরের পাড়ে
যে শিমুলের নকশা এঁকেছে আকাশ
তার কানে গুঁজে দেই রৌদ্রের ফুল।
আজকের আলোকলায় সুন্দরী মেঘেরা
দিয়েছে দ্রৌপদী শিহরণ।
ডানাওয়ালা কলমের ককপিটে
রৌদ্র সময় বেয়ে বেয়ে
চলে আসে বৈদিক ঘোড়া।
খাতার পটে চোখ চুষে নেয় তোমার
আজানুলম্বিত চুলের ভুবন,
ঠোঁটের ফোয়ারা, গ্রীবানুন,
বক্ষবিথীর বরফচূড়া,
নিতম্বের ধারপাত ঘেষা
সুগন্ধি ঝর্নার উষ্ণ জলের নিমা।
ভিজে হাওয়া শুষে নীল
আকাশ হয়েছে দুই চোখ
ফলবতী বৃক্ষ চোখের মতো
আমার চোখে চাওয়া
শব্দের ময়ূরাক্ষী পাল
সময়ের নদীতে নোঙর করে
অনন্ত চেয়ে আছো তুমি।