কী নিদারুণ অসহায় আমি ধ্রুব মৃত্যুর কাছে!
কী নিদারুণ অসহায়!!
অথচ পার্থিব কী নেই আমার-
অঢেল সম্পত্তি, প্রভাব প্রতিপত্তি,
গণ্ডায় গণ্ডায় কাজের লোক, আত্মীয় পরিজন।
সবি যেন আজ অনর্থক, সবি মিছে।

দেহ আমার এখন রোগ ব্যাধির জলসাঘর।
হৃদরোগ, ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, বাত-ব্যাথা, অনিদ্রা আরো যতসব আগর-বাগর।
এবেলা একটাতে গীত শুরু করে তো ও বেলা আরেকটায় করে নৃত্য।
মাঝেমধ্যে একসাথে আমাকে নিয়ে সবে টানা হেঁচড়া খেলে; কষ্ট দেয় জবর।

সামর্থ্য থাকলেও যাচ্ছেতাই খেতে পারিনা।
জামা-কাপড় ও ব্যবহার্যের এখন আর ব্র্যান্ড খুঁজি না।
রুটিনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো সেই আমি আজ দু দন্ড সুস্থভাবে বাঁচার জন্য হয়েছি রুটিনের গোলাম।
আরামের বিছানাও আজকাল আমাকে শান্তির ঘুম দেয় না।

সময়ের আগে ছুটে চলা সেই আমার হাতে এখন অফুরন্ত অবসর।
সময় আমাকে মাড়িয়ে যায়; আমার উপর দিয়ে গড়িয়ে যায়।
উত্তরসূরীরা ব্যতিব্যস্ত নিজেদের নিয়ে।
উদ্যমহীন চেয়ে চেয়ে দেখি জাগতিক ঘটনা।
পরকালের ভাবনায় কিছুটা চঞ্চল হয় অন্তর।

কী নিদারুণ অসহায় আমরা ধ্রুব মৃত্যুর কাছে!
সকলকেই আত্মসমর্পণ করতে হয় আগে বা পিছে।