আতঙ্কিত আদালত!
নিয়মের বেড়াজালে বন্দী কলম
বন্দী চিন্তার স্বকীয়তা।


একটা অজানা পথে ছুটে চলা অতীত
অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর রিজিক
পরিণতি ফাঁসিতে মৃত্যুর রায়।
কালো কাপড় বেঁধে দিলো সব সম্পর্ক
অন্ধকার কালো কুঠিরের মোহ  নিল টেনে।


ভুল করে পা বাড়িয়ে
মনের কথা মেনে নিলাম
চললাম ঐ পথে!
নিজের জন্য কিছু না করে
মস্তিষ্কের শান্তি বিধানে!
শুধু নিজেকে ভুলিয়ে।


ভুতুড়ে রাজপ্রাসাদে নিজেকে রাজা ভেবে
আত্নমোহে বশীভূত  হয়েছিলাম কিছু মাস।
অজানা সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে
বারবার নিজের কর্ম বড় করে দেখতাম।


অতীত পুরাণ কাহিনীতে বিশ্বাস না করে
বায়ুতে আকাশে, বাতাসে ভেসে
রমণীর স্বপ্নে বিভোর হয়ে
শেষে বিচ্ছেদের কারণে আতিথ্য দীর্ঘায়িত করলাম
এই ভূতুড়ে রাজপ্রাসাদের নাগরিক হয়ে।
বুঝালাম আমি নিজেকে ,
পারি থাকতে একা এই নগরীতে!


অভিশাপের দালানে নিজেকে সাজিয়ে
পুরাণের কথা ততদিনে ভুলে গিয়ে
বর্বর আমি!
বাস্তবতা  আবিষ্কার করলো আমাকে।


সময়ের দৌড়ে,
হাঁপ ছেড়ে বাঁচাতে প্রয়াস করছি এখন।
নষ্ট ঘড়িতে তখনো দুমাস বাকি
আপ্রাণ চেষ্টায় বাঁচানো সম্ভব কি?
মৃত্যুর আদেশে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করবে কি?
দেখা যাক কি হয়?
কালো কুঠুরিতে  আমার বসবাস শুরু হলো
রাষ্ট্রপতির অনুগ্রহে বাঁচবো কি না!
সময় বলে দিবে।
আপাতত ইতি!