দেবী তুমি!
সান্নিধ্যে থেকে আমি আজ আহত
ফেলে চলে গিয়ে আমি আজ বঞ্চিত
ফিরে পেয়ে যাব বলে
তুমি নরকের আগুন ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে।


নোনা জল ফুরিয়ে দাহ্য হৃদয় ভাঙ্গে
অজানা অন্ধকার ভিড় করে স্মৃতিতে
রোমন্থন করে কিছু বজ্জাত স্নায়ু
ক্ষত করে গভীর বেদনারা জমে তাতে
প্রভেদ ভুলে ছড়িয়ে পড়ে পুরো শরীর জুড়ে।
মায়াবী  তুমি এসেছিলে কেন?
কাঠগোলাপ নিয়ে গেলে কেন!
ঘ্রাণটা কেন ছড়িয়ে দিলে
কৃষ্ণচূড়ার নিরিবিলি চত্ত্বরে!
সাজানো রাঙা ফুলের পসরায়
গন্ধ আসে কেন কাঠগোলাপের?


মোহ মায়ায় জড়িয়ে ধরে
এপিটাফের গায়ে নোনা জল আছড়ে পড়ে
মায়াবী আর এসো না তুমি।
একবার আহত হয়েছি
আর একবার ঢু মেরে পালিয়ে গেলে
আমি নিহত হয়ে যাবো।
তাই এসো না!
স্মৃতিতে থাকো বেঁচে
বেঁচে থাকো তোমার স্বর্গে।


নরকের আগুন এসো না আর
পুড়বে না তুমি  জানি
পুড়বো শুধু আমি।


দেবীরা কেন অমরাবতীতে নৃত্য করে!
কেন নরকেই আমরাই পুড়ে ছাই হয়ে মিলিয়ে যাই!


মায়াবীরা জন্মগত স্বর্গের নাগরিক
অশান্তির দায় মাথায় নিয়ে
আমাদের শুধু নরক যাত্রা হয় ।