প্রতিটি অক্ষর যদি
পা তুলে, হাত মেলে নাচে
শম্ভুর ডুমুর তখন বাজে।


কৈলাশের মাটি কাঁপে,
ভৈরবী জেগে ওঠে।
ধ্যানে মত্ত শম্ভুনাথ বেজায়
ক্ষেপে ওঠে।
বিরক্তি মাখানো স্বরে
বলে ওঠে -"কার এত সাহস? "


শুনতে পায় অক্ষরগুলো
প্রশ্নবোধক সেই বাক্য।
তবুও তাঁরা নির্ভীক
শঙ্খনাদ, বাঁশি, ঘন্টা
একসাথে মাতে।
আর অক্ষরগুলো নাচে
পৃথ্বীর বুকে নির্ভীকভাবে ।


শম্ভু আসে দর্শনে
পৃথ্বীর মন্ত্রে কেন কৈলাশ কাঁপে?
কারা সেই নির্ভীক অক্ষর
যারা অপরাধের পৃথ্বীতে
এত পুত পবিত্র।


হতবাক হয় শম্ভু!
শোষিত নির্যাতিত কান্নারা
করে নৃত্য।
কোটরাগত পানির গড়িয়ে পরা
দামামার শব্দ।
তাঁরাই মূলত নাচে
হাত তুলে, পা উচিয়ে
শম্ভুর দর্শনের জন্য।


শম্ভু বলে, "কার শোকে তোমরা করছো নৃত্য? "
সমস্বরে গর্জে ওঠে  একটি বাক্য।
অক্ষরগুলো বলে -
আপন শোকে করছি নৃত্য।
একটি বুলেট মোর মাকে করেছে বিদ্ধ
একটি গ্রেনেড মোর ঘর করেছে ধুলো ধুলো
একটি হাওয়াই রকেট
মোর দেশটাকে ডুবিয়ে দিয়েছে
নরকের তলে।
একটি যুদ্ধ মোর চোখে
তুলে ধরে রক্তের স্রোত।


কই তোমার সাম্যে গড়া পৃথ্বী?
কই তোমার নিয়ম-নীতি?
কই! কই! কই!


দমন যদি নাই করো
এই অনাচার ।
তোমার শাসন শেষ করো
চাই নতুন ঈশ্বর।
ছাড়ো ছাড়ো পদ
রেখে যাও মুকুট।
কৈলাশে তোমার আধিপত্য
সব জুট!  সব জুট!


আল্টিমেটাম ভেবে নাও
করো সব প্রতিকার
নিজের মুকুট সামলিয়ে
আবারও হও ঈশ্বর।