কবরে জেগে ওঠে,
ইচ্ছে পূরণের আতুড়ঘর।
অশরীরীরা তালিকা করে মেধাবীর;
নিযুক্ত করে শ্রেষ্ঠ ক্রীতদাসদের ।


কবরের শীতল পরিবেশে যাঁরা উষ্ণতা ছড়াবে না
কখনোই বিদ্রোহ করবে না, কোনো কালে!
হিম শীতল কোমলপ্রাণ নীতিবাদী ক্রীতদাসের
কদরটা তাই খুব চড়া এই কবরে।


বাহ্যিক স্বচ্ছতার  নীতিনৈতিকতাগুলো
ক্রীতদাসত্বের অনুসারী আত্মার
জন্য প্রযোজ্য একমাত্র।
অন্দরমহলে ঘোলাটে মিথ্যাচার
অশরীরীরা করতে ব্যস্ত ।
জীর্ণ শীর্ণ দর্শনে
কবরের অবস্থা যেন ব্যভিচার।


স্রষ্টার নিকট আত্নীয়, অশরীরীরা;
তাদের বিরুদ্ধাচারণ অর্থ
স্রষ্টার মর্যাদাহানি ।


কবরের সাম্যতা ফিরবে কি করে?
আজরাইল ভয় পায়
যেখানে পঞ্চায়েতে বসতে।


স্রষ্টাও  কখনো সন্ত্রস্ত হয়,
অশরীরীদের  সাথে বিরুদ্ধাচরণে।
স্রষ্টার দরবার তো
নামে মাত্র থাকা!
সেটা অশরীরীদের নিলাম খানা।