সোনালী দিন ফুরিয়েছে
দূষিত গন্ধ ছড়িয়েছে।
পুড়ছে মূল্যবোধ পুড়ছে নীতি
হচ্ছে ছাই সব সত্যের গীতি।


ডুবছে দেশ!  ডুবছে শিক্ষা!
নেই কোনো ত্রাণের ইচ্ছা
নেই মূল্যবোধের চর্চা
নেই  সম্মান  শিক্ষা গুরুর
নেই! নেই! কিছু নেই!


এখানে শুধু ক্ষমতা ক্ষমতা খেলা
টাকার মাহাত্ম্যে পূজিত হওয়ার মেলা।
ন্যায় বিচার শুধু চাপের মাথায়
বাকিগুলো তো গোল্লায় যায়।


কালো কাপড় বাঁধা চোখে
মানুষের মনস্তাত্ত্বিক আজ ভোগে
সব কিছু আজ কারফিউ এ
সিল কালা হয়ে ঘুমিয়ে।


একটা মার্ডার! একটা কারিগর!
একটা মানুষ ;একটা ছুরি
পেটে ঢুকে গেল
নাড়িভুড়ি সব ছিড়ে গেলো
রক্ত গঙ্গার স্রোত
শুষ্ক জমিনে আছড়ে পড়লো।


হৃদয় কাঁপানো হাসি
হৃদয় কাঁপানো ভয়
একদা হেঁটে চলে নির্দয়।


সংস্কৃতি বলে- গুরু ভজ; গুরু ধরো
মানুষ বোঝে - গুরুর রক্ত! গুরুর হত্যা!


ভন্ড সমাজ! ভন্ড দর্শক!
তুমিও কি বলতে পারো
সেটা ঠিক!  
মাথা নিচু করে কেন অপরাধকে স্বাভাবিক বলো?
ওদের ক্ষমতা আছে তাই কিছু বলবে না?


যদি আজ না বলো! না প্রতিবাদ করো!
যদি চুপ করে ভীত হয়ে থাকো!
তুমি কাল তাদের শিকার।
তোমার নিকট আত্নীয় হবে তাদের শিকার!
কী করবে তখন?
তখন চুপ করে থাকবে
আজকের মতো!


কী দেশ!  কী সমাজ!  কী মানুষ!
আমি, তুমি আর ঐ খুনি একই যেন।
জনসম্মুখে মেরে হত্যা করছে ক্যাম্পাসের বড় ভাই! দেখি শিক্ষকও মরে দশম শ্রেণির ছাত্রের কোপে হায়!


তাজ্জব বিচারক! অবাক আইনের দলিল!
কী হলো পুরো জাতির কে করলো এদের বশ?
কাদের প্রশ্রয়ে এরাই করছে এই দুঃসাহস!
কী জবাব আছে এই মৃত্যুর?


যদি এই বিচার সুষ্ঠ না হয়
দেখবে নিত্য নতুন হত্যার কারুকাজ হায়!
দেখবে সাদাকালো নিয়মে রক্তের ছাপ
স্পষ্ট দেখবে নতুন রক্তের  বর্ণিল শোভাযাত্রা
শুধু হত্যা,গুম, সন্ত্রাসের নমুনা।


আমি অপেক্ষা করছি সেই রক্তের বিচারের
সেই শিক্ষকের হত্যার!
খুনিদের হোক মৃত্যু দণ্ড!
বাঁচুক পৃথিবীতে ত্রাসের ভয় থেকে
জেগে ওঠো তোমরা আবারও
দেখিয়ে দাও অন্ধের পালের মতো
চলো না সবাই তোমরা!
সত্যকে সত্য বলে
হত্যাকে হত্যা বলো।


আমি অপেক্ষা করবো তোমাদের গণজাগরণের
এই উপত্যকায় হত্যার বিচার কর্মসূচির।


এক পশলা আগুনের বৃষ্টিতে
রক্ত পলাশ ফুটবে হেঁসে।
যখন তোমার জাগবে
গাইবে সুষ্ঠ বিচারের গান।



উৎসর্গঃ লাঞ্ছিত শিক্ষক সমাজ