কবিতার চাদরে ব্যক্তিত্বহীন মূলভাব
ভূয়া দর্শনে নিজেকে ক্ষয়ে
নিঃস্ব, ফতুর হয়ে দোষ দিয়ে চলেছি অন্যকে।


জীবিত, মৃতের উপরে
আমি বিকাতে চেয়েছি আমার সত্তা
সস্তা রাতের বাজারে।


আত্নশুদ্ধির দিনে
যজ্ঞের আসর ছেড়ে এসে
সর্পে দিয়েছি নিজেকে পাপের চক্রে।


কেউ লিখতে বলেনি, কেউ বলেনি ভালোবাসতে
তবুও লিখছি, ভালোবাসছি
নিজেকে মারছি প্রতিটি লিপিতে
ভিতরে পুষে রাখা রাগ,ভয়, জমাবদ্ধ ক্রোধ
সৃষ্টি করছি নতুন করে।


পুরাতন সব ব্যথার এই প্রসব বেদনা
খুবই জঘণ্য লাগে
পুষে রাখা সব আঘাতের দাগ চোখে ভাসে।


মাথার ধমনীরা পুুড়ে নিঃশেষ হচ্ছে
রাতের শেষে শেষে
কষ্টগুলো এখন ঘুমিয়ে পড়েছে
হৃদয়জুড়ে তীব্রতা মিলিয়ে যাচ্ছে
নশ্বর শরীরে ক্লান্তির আবছায়া
ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে।


শুধু দুচোখ খোলা এখন
মাথার উপর ফ্যানের দায়িত্বশীল দৌড়ে চলা
আমাকেই অবজ্ঞা করছে।


বুঝেছি আমার ধ্বংসলীলার
আমি মাতৃনাড়ি
আমি দোষী যে তোকে ভালোবেসেছি
আমি দোষী যে কলমে তোকেই লিপিবদ্ধ করছি।


কবিতার চাদরে ব্যক্তিত্বহীন মূলভাব
ভূয়া দর্শনে নিজেকে ক্ষয়ে
নিঃস্ব,ফতুর হয়ে দোষ দিয়ে চলেছি অন্যকে।


এভাবেই কী শেষ হবো আমি?
আমার সপ্তম জন্মের অ্যাখানখানি !