ভোররাতে ঘুম ভাঙ্গা এক ফোনে;
তোর বাপ আর নাই, বাজান
শব্দের ভূমিকম্পে
কেঁপে উঠল পুরো শহর।
কংক্রিটের শহরে আজ
প্রথম ক্রোন্দন ধ্বনি উঠল বেজে,
সম্পর্কের ধ্বংসস্তূপ আজ
বীভৎস চেহারায় রূপ নিল।
শুধু বললাম, আমি যাব কী?
ও পাশে শুধু  নীরবতা।


তাজ্যপুত্রের আছে কী কোনো দায়বদ্ধতা?
আছে কী কোনো দায়িত্ববোধ?


দশ সমাজের মাঝে
আমার ন্যায় বিচার যখন প্রাধান্য ;
তখনই তার বিপরীতে আমার
রাজনীতিবিদ পিতার ভূমিকা অনবদ্য।
দ্বন্দ্ব তৈরি সমানুপাতিক হারে
সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত।
এক শরতের কাক ডাকা বিকেলের
জেলের কুঠরী বন্দী জীবনে
তাজ্যপুত্রের নোটিশ পাওয়া
যেন শ্রেষ্ঠ উপহার ।


তবুও সিদ্ধান্ত পিতার
তা মান্য করা আমার অধিকার।
বন্দী জীবনের একতরফা অভিজ্ঞতার পর
আমি আর কখনোই সম্মুখ সাক্ষাতে
ছিলাম না উপস্থিত।


আজ আঠারো বছর পর
সম্মুখ সাক্ষাৎ  পিতার সাথে।
তবে তাঁর ভ্রুক্ষেপহীন চাহনির সাথে
তাঁর মুখমণ্ডল রক্তবিহীন দেহের সাথে।
তাঁর পদ দলের সাথে।
তাঁর বন্ধ চোখের গড়িয়ে পড়া পানির সাথে।


তবুও চোখে পানি এলো না কেন?
সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত
তাই কি প্রধান কারণ?
নাকি বন্দী জীবনের কষ্ট পাওয়া
একতরফা আঘাত?


দাফন শেষে,
কাঁঠালতলার বৈঠকে
লুকায়িত সত্য  পেলাম কিছু।
আসলেই মোসাম্বর রহমান
ডানপন্থী নেতা থেকে
আমার জীবন বাঁচাতে
বন্দী করে রেখেছিল গরাদের ওপাশে।


কাশ্মীরে বামপন্থী পক্ষ নেওয়া
আর আন্দোলনে উন্মাদ আসক্ততা ;
মূল নিয়ামক হয়েছিল সবকিছুর।


লাল মিয়া দিলেন এক কোর্ট ফাইল
সেখানে লেখা -
তোমারি সব।