আমরা মাংস পিন্ডগুলো খোজে বেড়ায়;
যখন খেতে বসি,
আস্ত একটি সিদ্ধ চিকেন!
দেখতে পাই খাবারে।


উৎফুল্ল হাসি নিয়ে, একগাল ভরে দেয়,
বিসমিল্লাহ বলে।
সাদা অংশগুলো এক একাটা কামড়ে;
মাংসপিন্ড মনে হয়।


দাঁতের ধারালো দু’পাটির,
যুদ্ধে মনে হয় হাড়গুলো;
ভেঙ্গে কড়মড় করে পিশিয়ে যাচ্ছে।


যে আওয়াজ কান অবধি হয়ত পৌছেনা;
কিন্ত মনের গভীরে সে শব্দ অনুভব করি,
তখন মজ্জাগুলোর স্বাদ রসের মত বয়ে পরে;
রসানার জ্বালা নিবারনে।


রসনার জ্বালা মিটাতে মেটুলি;
আমায় আজো বিহ্ববল করে,
যখন কসুম বেরিয়ে আসে!
হলদে অথবা লালচে
তখন মেটুলির সে স্বাদ আমায়,
পেয়ে বসে, এক স্বর্গীয় আস্বাধে।


এভাবে চলছে, প্রতিটা শহরে,
রাস্তায়, ফুটপাতে, অলিতে, গলিতে,
একটি ডিমের প্রসব বেদনার পরিসমাপ্তি।


এত দায়ভার  কারা নিবে?
বিবাহিত, অবিবাহিত, ব্যচেলর
মেছে বোয়া না আসার,
আর মানব সন্তানের নানা পদ
ভিটামিন পরিপূরকে।
এর ফলে;
কত যে ডিমের প্রসব বেদনার সমাপ্তি ঘটে,
কত যে চিকেন দুনিয়ার আলো দেখার পূর্বে;
জায়গোট হতে পারে না।


কত মোরগ মোরগী সন্তান হারায়ে
দিনানিপাত করে।
সে কষ্টের কথা কে খরব রাখে?
এভাবে প্রতিটা মুহুর্ত প্রতিটা ক্ষণ,
এক একটি ডিমের,
প্রসব বেদনা আসার আগেই
পরি সমাপ্তি ঘটে;
একটি ডিমের প্রসব বেদানা।


বড় রাঙ্গামাটিয়া, সাভার।
৪ মাঘ ১৪২৫