ধর্মের গোড়া থেকে উঠে আসা দল,
কাঁপাল দেশ, ধরল তাকবীর, হল চঞ্চল।
নিভে গেল শেষে, আমানিষার ঘোরে,
তাদের আর যায়না দেখা রাজার পূরে।
ভেবেছিল কি, তারা করবে বাজিমাত,
না কখনো হবার নয়, হয়েছে কপোকাত।
বিজয় যদি হত এত সহজ ধারায়,
তাদের পারিত না শাপলা থেকে তাড়ায়।
বিজয়ত আসেনা দেখে জন  স্রোত ধারা,
আসিবে যবে পরীক্ষা, নাড়িবে শত কড়া।
পেট বেছা যাদের ইমানের শীর,
কতটুকো হবে যে তারা রাজ পথের বীর।
দেখিয়ে দিল প্রভু তাদের চোখে দিয়ে আঙ্গুল,
এত নয় সোজা আরো পরীক্ষা দাও অর্নগল।
সে থেকে একে একে হাড়াল তারা,
চুকাইল তাদের পরীক্ষার ধারা।
এত নয় সোজা মনে রেখ হে মৌলবীর দল,
রাসূল ও দিল পরীক্ষা, পদে পদে হল সফল।
তোমার কতটা পরেছে দাঁত?
পেয়েছ কি কোন আঘাত?
হয়েছ কি কভু অজ্ঞান?
তাহলে কিভাবে পাবে বিজয়ের সুঘ্রাণ।
এক রাতের হানাতে কেন দিশেহারা,
জ্বালাও ইমান প্রদ্বিপ, ফিরাও ধারা,
পরীক্ষা দিতে থাক‌ো একে একে,
দেখবে বিজয় এসেছে তোমার দিকে বেঁকে।
ছেড়ে দাও তোমাদের পেট বেছা নীতি,
দেখবে বাড়ছে ইমান, পাবে অনেক গতি।
ফিরে এস ফের, সৎ কাজের আদেশ করে
দাও বাঁধা ধুলিষ্যাত কর যত অন্যায়, নিজ করে।
*   *   *
বেলা দ্বিপহর বারুদের গন্ধ ভরা আকাশ,
চোখ জ্বালানো সে কাঁদানী গ্যাসের বাতাস।
এত কিছু উপেক্ষা কারে চলছি সম্মুখে,
যুদ্ধ কি যে হতে পারে দেখলাম চোখে।
ও পাশে গোলা-বারুদ তাক করে,
এ পাশে মোরা গোলতি হতে করে।
বারংবার যেন করছি স্বাধীনতার যুদ্ধ,
এ যে ছিল ভয়ানক শ্বাস রুদ্ধ।
তারপর সে ভোর বেলা,
ভেঙ্গে দিল ভেলা।
আজ দিতে হবে ফের , মোদের বারংবার ইমান পরীক্ষা,
খোদা দিবে চুরান্ত বিজয়, একটু পতিক্ষা।


চিনিশপুর নরসিংদী
২২ বৈশাখ, ১৪২২