এক উজলা বনফুলে
বসে আছি তার কূলে।
ভাসি এল নাসিকায়
নিস্তব্ধ নিঘুর সন্ধায়।
বিকাশিল তার রূপ,
বেশবাশ কি অপরূপ।
নেতানু পাপড়ি গুলো
হেরা যায় না ভাল।
অলিন্দে বসে বাসে মগন;
শিহরিত করে অণুক্ষন।
চাঁদের আজ পূর্ণতিথী,
মনে পরে হাড়ানো বিথী।
সহসা ভেসে এল দক্ষিনা বায়ু;
চমকিয়া উদিল মম স্নায়ু।
কিসের কাগাড়ে বন্দি আপনে
জোছনা মাখা এ লগনে।
বসা তন্দ্রায় বাসে মগন ঘুরে;
ভেসে গেনু কোন পুরে।
একাকি রিবহী মোয় পথের দুলাল্
আসিল এক শীর্ণ বস্ত্র কাঙ্গাল।
দু’জনে কথনে মনে হল না যে;
কে সে এল-কথ্বকে এ।
হাঁটিটে হাঁটিতে ঢোকিনু প্রাসাদে;
কুর্নিশে কুর্নিশে ভরে গেল বিনাদে।
কি যেন ইঙ্গিতে বলিল প্রহরিকে।
সুশোভিত কামড়ায় নিয়ে গেল আমাকে।
প্রভাতে সুপ্তিতে শোনেতেছিনু ডঙ্কা।
উঠিনু চমকিয়া লাগিল শঙ্কা।
একঝাক প্রহরি আসি দাড়িল;
সাথে করে আমায় কোথা’ নিল।
কাঙ্গাল যে আলা সিংহের কেদারায়।
বসে আছে তার বালা নিরালায়।
ঘোষিয়া যে দিল আলা,
চোখাচোখি হল রাজবালা।
পশিনু এক নবান্নারে দারপ্রান্তে!
কি হয়ে চেয়ে ঐ আঁখি প্রান্তে।
সম্মুখে আসি একা কহিল সে,
একে একে শুধাল যা বলার আছে।
রাজ আর রাজবালা উভই আমার,
নিদ্রা হতে চমকিয়া উটিনু এবার।


কাজীর গাঁও মৌলভীবাজার
১৩ ভাদ্র ১৪১৫