আমি ও এক নারী পুত্র গর্বিত এই ভুবনে
তোমার দর্শন এই প্রকৃতির রূপ তুমি , ওগো মমতাময়ী নারী
মহামায়া সম অবদান তোমার,তোমারে প্রনাম করি।
পুরুষ তো করেছিল বৃক্ষরোপন, হয়তো দিয়েছিল কিছু আলো,
তুমি তো সেই মাতৃসম মাটি,যে মরনকাল পর্যন্ত বুকে আঁকরে ধরেছিল।
বারংবার তুমি জন্মেছ নানার রূপে , নানা কারণে,
বিপদের মুখে ঝাঁপিয়ে পরেছ ,থেমে থাকনি কারও বারণে।
সেই জগত সৃষ্টির আদিকাল হতে পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছ,
সম্মানের জন্য কোনদিনও নয়,শুধু সবাইকে বাঁচিয়ে রেখে দুমুঠো খাবারের জন্য খেটেছ।
মুখ বুজে সহ্য করেছ কত লাঞ্ছনা গঞ্জনা,পাওনি সৃষ্টিকর্তার গরিমা,
প্রচার করোনি কোনোদিনও তোমার ওই জননী রূপী মহিমা।
তুমি ছিলে ছিয়াত্তরের মন্বন্তের পথে ঘাটে,
তুমি ছিলে মার বংশের রাজবাটে। [রাণী রাসমনি]
তুমি ছিলে পাহাড়ী জঙ্গলে ,মাষ্টারদার সঙ্গী হয়ে,
তুমি ছিলে ঝাঁসির রাজবাড়িতে অশ্বরোহী হয়ে।
তুমিই তো সেই লক্ষী স্বামীনাথন,হাতে তুলে নিয়েছিলে তীক্ষ্ন তরোবারি,
তুমিই তো বৃদ্ধা বীরাঙ্গনা,মৃত্যুবরন করলে হস্তে দেশের পতাকা ধরি।
হে বিদ্রোহীরূপী,যোদ্ধারূপী,জননীরূপী নারী,
তোমার কোলেই জন্ম আমার ,তোমারে প্রনাম করি।।।
একদিন করে সম্মান নারীর,রোজ  করো  পুরুষ নারীকে ধর্ষণ,
নারী এখনো হয়নি হিংস্র  পশুতাই করে না   বুক ফাটানো গর্জন,
অবহেলা সয়ে সংসারের টানে  সব যায় ভুলে
তা বলে ভেবোনা  নারী  অবুঝ জড়বস্তু কিংবা অবলা,
নারীর স্বভাব পাল্টালে ভাঙলে নিদ্রা ,
পুরুষ তুমি, হবে দীশাহীন একলা।
মা,ডাকো যারে সেও তো নারী কেন যাও তবে ভুলে,
প্রতিটি নারী রয়েছে দেখো পুরুষ সৃষ্টির মূলে।
ভালোবাসা চায় নারী কেবল কোনো কিছুর বিনিময়ে।
তুমি ও তাকে ভালোবেসো পুরুষ দেখো না শুধু কামনার দৃষ্টি নিয়ে।
জানি,সব পুরুষ নয় সমান তাই, এখনো নারীর অস্তিত্ব টুকু আছে,
সব পুরুষ নারীর শরীর চায় না মন টাকেও ভালোবাসে।