কোন নারীকে তার ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোর করে
যৌন সুখ নিবৃত্ত করাই ধর্ষণ।
জোর করে হলেও এই সুখ কি পুরুষ একাই ভোগ করে না নারীও ভাগীদার হয়।
হয়ত জবরদস্তিতে নারীর শরীরে অাঘাতের চিহ্ন থাকে
যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত হয়
শক্ত শরীরের আক্রমণে নরম শরীরটা আরও দুর্বল হয়।
এ জন্যই ধর্ষণ শব্দটি পুরুষের বেলায় বেশি  প্রযোজ্য!
আর পুরুষকেই বেশি দায়ী করা হয়।
নারীরা যে স্বেচ্ছায় পুরুষের সাথে লিভ টুগেদার করে বা সম কামী হয়
এর জন্য দায়ী কারা?
কেবল পুরুষেরই কি যৌন তৃষ্ণা!
বিজ্ঞান বলছে পুরুষের চেয়ে নারীর যৌন ক্ষমতা বেশি।
নারীরও যে অনেক সময় একজন পুরুষে সুখ হয়না।
শক্তিশালী সক্ষম পুরুষ খোঁজে
তাতে কিছুই যায় আসে না।
কারন এখানে পুরুষ নতুন স্বাদের আমেজে তৃপ্ত হয় গর্বিত হয়
পুরুষের যৌন ক্ষুধা যৌনাঙ্গের চেয়ে চোখে বেশি থাকে।
আর নারীরা বেয়াব্রু থেকে পুরুষকে  আকৃষ্ট করে।
সুডৌল স্তন আর শ্বেত নিতম্ব পুরুষের খুবই পছন্দ।
এরকম কিছু সামনে আসলেই পুরুষত্ব যৌনতার তাড়নায় জেগে ওঠে
লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায়
এটা দোষের কিছু নয়
এই তাড়না কেবল অক্ষম পুরুষের থাকেনা
সব নারী জীবনসঙ্গী হিসেবে সক্ষম পুরুষ খোঁজে।
শুধু ব্যবধান এতটুকু নারী যা লুকাতে পারে
পুরুষ তা পারে না বা চায় না।
এর কারনও একটি সমাজটা পুরুষ শাসিত
তাই নারীকে চুপসে থাকতে হয়।
তবে সে যে কিছুই বোঝেনা তাও কিন্তু নয়
মাঝেমাঝে ফণাধর সাপের মত ফোঁস করে ওঠে নারী রূপ।
আবার শীতল হয়
কারন পুরুষ ছাড়া নারীর মূল্য নেই
তার যত সৌন্দর্য সুগন্ধ কোন না কোন পুরুষের জন্য
সে হতে পারে বাবা, সঙ্গী অথবা তারই গর্ভজাত সন্তান
আবার এই তিন ব্যক্তির কাছে এরা অসহায়ত্বের শৃঙ্খলও পড়ে।
কমনীয় হয়
নিজ জীবনকে তুচ্ছ করে এদের সুখ বিলায়।
আসলে সব কিছুই খোলা জায়গায় ফাঁকা গুলি
পৃথিবীতে আমরা মানুষ, শ্রেষ্ঠ জাতি
দ্বন্দ্বে সংঘাতে নয় ছোট করে বা বড় হয়ে নয়
সম্মান -সম্ভ্রম রক্ষায় মানবিকতার
মনুষ্যত্ব বোধে লিঙ্গ বিভাজন হয়না
একে অন্যের দোষ দায়বদ্ধতা
কখনো মুক্তি মেলে না।
নারী পুরুষ আলাদা হলেও
দুই সত্তা এক না হলে সৃষ্টি হতনা
কেউ সৃষ্টির আনন্দ পেত না
সৃষ্টিতে মত্ত হতো না
জড়ো র মতো মুখ থুবড়ে পড়ে থাকত
অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের জন্য
আমরা মাঝেমাঝে লজ্জিত বা ঘৃণিত হই বৈকি
এক পক্ষীয় দোষ দেই হয়ত
কিন্তু জীবন সংসার নারী পুরুষের  একাকীত্বের খেলা নয়
নারী পুরুষের সম অধিকার যেমন আছে
তেমনি সমঝোতা বুঝে নিয়ে চলাই মনুষ্যত্ব
নারী পুরুষের লিঙ্গ বৈষম্যে নয়।